শিরোনাম
বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

নারী মাদকাসক্ত বাড়ছে

পারিবারিক নজরদারি বাড়াতে হবে

দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, স্পুটনিক হারে বাড়ছে নারী মাদকাসক্তের সংখ্যা। আইসিডিডিআরবি জার্নাল অব হেলথ পপুলেশন অ্যান্ড নিউট্রিশনের এক জরিপ অনুযায়ী, রাজধানীর ৭৯.৪ শতাংশ মাদকাসক্ত পুরুষ আর ২০.৬ শতাংশ নারী। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, ২০১৪ সালে সরকারি পর্যায়ে (বহির্বিভাগ) চিকিৎসাপ্রাপ্ত নারী রোগীর সংখ্যা ছিল ২৫। ২০১৫ সালে ৩, ২০১৬ সালে ১৬, ২০১৭ সালে ২৮, ২০১৮ সালে ৯১ ও ২০১৯ সালে ৩৬০ জন। আর অন্তর্বিভাগে ২০১৪ সালে ১, ২০১৫ সালে কোনো রোগী ছিল না, ২০১৬ সালে ৪৭, ২০১৭ সালে ৭৪, ২০১৮ সালে ৮০ ও ২০১৯ সালে ২২৩ জন নারী চিকিৎসা নেন। ঢাকা আহছানিয়া মিশনের অ্যাডিকশন ম্যানেজমেন্ট ইনট্রিগ্রেটেড কেয়ারে গত তিন বছরে ২৫০ জন নারী মাদকাসক্ত চিকিৎসা নিয়েছেন। এর ৪৩ শতাংশই পারিবারিক কলহ থেকে সৃষ্ট কারণে ইয়াবায় আসক্ত হয়ে পড়েন। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত ১৬ থেকে ৩৫ বছর বয়সী নারীরা মাদক গ্রহণ করেন। অবিবাহিতদের বড় অংশই শিক্ষার্থী। নারীদের মাদকাসক্তে জড়িয়ে পড়ার পেছনে পারিবারিক জীবনের হত্যাশা অনেকাংশেই দায়ী। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাদক গ্রহণে পুরুষের চেয়ে নারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশি। কারণ নারীদের শারীরিক ঝুঁকি পুরুষের চেয়ে বেশি। বাংলাদেশের নারীদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও কম। মাদক গ্রহণে নারীরা পুরুষের তুলনায় মানসিকভাবে বেশি বিষণœ হয়ে পড়ে। মাদকাসক্ত নারীর অনেকেই কিডনি সমস্যায় ভোগেন। এইচআইভিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও থাকে মাদকাসক্তদের জন্য। সন্তানদের প্রতি বাবা-মায়ের অবহেলার কারণেই সাধারণত তারা মাদকাসক্তে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে। যে কারণে সব ধরনের মাদকাসক্তি রোধে সন্তানদের প্রতি বাবা-মায়ের নজরদারি বাড়াতে হবে। স্কুল-কলেজে পড়–য়া সন্তানরা কোন ধরনের বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মিশছে, কী করছে সে বিষয়ে বাবা-মায়েরা নজর রাখলে অনাকাক্সিক্ষত পরিণাম অনেকাংশে এড়ানো সম্ভব হবে। পাশাপাশি মাদক ব্যবসা বন্ধে সরকারকে হতে হবে আরও কঠোর। সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার দিকেও নজর দিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর