শিরোনাম
শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

স্বাস্থ্য খাতের ভূত তাড়াতে হবে

সরকারের দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ ভূমিকা কাম্য

স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকার দেরিতে হলেও তৎপর হয়ে উঠেছে। এ তৎপরতায় মহাশক্তিধর সিন্ডিকেট সদস্যদের কেউ কেউ ধরাও পড়েছে। তবে এ প্রয়াস কতটুকু সফল হবে তা স্বাস্থ্য খাত থেকে দুর্নীতির নোংরা জীবদের তাড়িয়ে দিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কতটা সফল হবে, তার ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। স্বাস্থ্য খাতের অতি ক্ষমতাধর দুর্নীতিবাজরা ইতোমধ্যে দুর্নীতির মাধ্যমে গড়ে তোলা টাকার পাহাড় যে নিজেদের রক্ষায় অসংকোচে ব্যবহার করবে তা সহজে অনুমেয়। আর আমাদের এ ভূখন্ডে যাদের অর্থ আছে, সবকিছু ম্যানেজ করার ক্ষমতা যে তাদের থাকে তা ওপেন সিক্রেট। এ প্রেক্ষাপটে সরকারের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের মনোযোগ নিবিষ্ট রাখতে হবে স্বাস্থ্য খাতকে ক্লেদমুক্ত করার প্রয়াসের দিকে। আমাদের বিশ্বাস, স্বাস্থ্য খাত যেভাবে সরকারের সুকীর্তি গিলে খাচ্ছে তা থেকে নিজেদের রক্ষার স্বার্থে দুর্নীতিবাজদের সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকার দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ ভূমিকা নেবে। স্বাস্থ্য অধিদফতর সম্পর্কে বলা হয়, সেখানে ঘুষ-দুর্নীতির অবাধ রাজত্ব চলছে অর্ধশতক বছর ধরে। আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রামীরা চিকিৎসাকে দেশবাসীর অন্যতম মৌলিক অধিকার বলে ঘোষণা করেছিলেন। স্বাধীনতার পর স্বাস্থ্য খাতের শ্রীবৃদ্ধিতে দলমতনির্বিশেষে প্রতিটি সরকার প্রয়াস চালিয়েছে। কিন্তু চোর-মহাচোরদের সিন্ডিকেট এ খাতে সরকারি বরাদ্দের বড় অংশই গিলে খেয়েছে। এ খাতে ঘটছে পুকুরচুরি শুধু নয়, সাগরচুরির ঘটনা। এলোমেলো করে দে মা লুটেপুটে খাই- স্বাস্থ্য খাতের আপ্তবাক্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কারণে মালেক ওরফে বাদলের মতো মহাচোরদের

দাপট গড়ে উঠেছে। গাড়িচালকের পক্ষে ধনকুবের বনে যাওয়ার পথ রচিত হয়েছে। হিসাব শাখার সামান্য একজন কর্মচারী আবজালের পক্ষে দেশে-বিদেশে বিশাল সম্পত্তির মালিক হওয়া সম্ভব হয়েছে। দুনিয়ার কোনো সভ্য দেশে এমন দুর্নীতি ও যথেচ্ছারের সুযোগ আছে কিনা আমাদের জানা নেই। স্বাস্থ্য খাতকে মানুষবেশী ভূতপ্রেতের ছোবল থেকে মুক্ত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো শুধু নয়,সরকারকেই নাক কান চোখ খোলা রাখতে হবে।এ খাতের ভূত তাড়াতে সেটিই হবে প্রকৃষ্ট পথ।

সর্বশেষ খবর