শিরোনাম
শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

রপ্তানি সম্ভাবনা

পণ্যের মান ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে

বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের মূল গন্তব্য ইউরোপ, আমেরিকা ও কানাডা। ফলে এসব বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়া ভালো লক্ষণ। তবে বেশি ভালো হয় যদি নতুন বাজার ও অপ্রচলিত পণ্যের রপ্তানি বাড়ে। হাতে গোনা দু-তিনটি বাজারের ওপর নির্ভরশীলতা পণ্য রপ্তানির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছর জুন পর্যন্ত ১ হাজার ১৫০টি কারখানার ৩১৮ কোটি ডলারের তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশ বাতিল হয়। স্থগিত হয় হিমায়িত চিংড়ির ক্রয়াদেশ। সবজি রপ্তানি বন্ধ। সম্প্রতি বাংলাদেশি পণ্যের অন্যতম গন্তব্য ইউরোপের দেশগুলোয় রপ্তানি সম্ভাবনা বাড়ছে। উন্নত বিশ্বের দেশগুলো চীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় এ সম্ভাবনা দেখছেন দেশের ব্যবসায়ীরা। তাদের ধারণা, চীন নিয়ে উন্নত বিশ্বের নতুন চিন্তাভাবনার কারণেই বাংলাদেশের রপ্তানি বহুগুণে বাড়বে। আগামী বছরের গোড়ায় ইউরোপের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ালেই পণ্যের চাহিদা বাড়বে। এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে অবকাঠামো সংকট, শুল্কায়ন ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূরীকরণ জরুরি। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির ৩০ ভাগেরই গন্তব্য জার্মানি। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি না পেলে রপ্তানি আয় বাড়বে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমাদের শিল্পকারখানাগুলোকে টিকিয়ে রাখতে হবে। সেজন্য দুটি কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক. দেশের অভ্যন্তরে স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস করা। সেই সঙ্গে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করা। কারণ, ক্রেতা দেশগুলো যখন স্বাভাবিক হয়ে যাবে তখন যদি আমরা স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে থাকি, তবে পণ্য সরবরাহ করা যাবে না। দুই. ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তাদের সহায়তা করা। না হলে ব্যবসায়ীরা টিকতে পারবেন না। রপ্তানিতে এত দিন পণ্যের দাম ও মান দিয়ে প্রতিযোগিতা করতে হতো। করোনা-পরবর্তী স্বাস্থ্যগত অবস্থা ও সুনাম যুক্ত হবে। তাই শ্রমিক ছাঁটাই কিংবা মজুরি না দেওয়ার কারণে খারাপ ভাবমূর্তি তৈরি হলে ক্রেতা হারানোর শঙ্কা থাকবে। এজন্য সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর