শিরোনাম
শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বাংলাদেশের ইলিশের সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ুক সারা বিশ্বে

শাইখ সিরাজ

বাংলাদেশের ইলিশের সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ুক সারা বিশ্বে

প্রত্যেক বাঙালির কাছেই ‘ইলিশ’ এক আবেগের নাম। ইলিশ যেন মায়ের মমতা মাখানো এক শব্দ। আমাদের জীবনে, সাহিত্যে, সংস্কৃতিতে ইলিশ যেভাবে জড়িয়ে আছে পৃথিবীর আর কোনো জাতির আবেগের সঙ্গে কোনো মাছ এভাবে জড়িয়ে আছে কিনা আমার জানা নেই। ইলিশের স্বাদ আর গন্ধ মোহিত করে আছে আমাদের জীবনের গল্প। বুদ্ধদেব বসু ইলিশকে বিশেষায়িত করেছেন ‘রজতবর্ণ মনোহরদর্শন মৎস্যকুলরাজ মহান ইলিশ’ বলে। ইলিশ নিয়ে বাঙালির আবেগের কাছে ইলিশের এ বিশেষণ কোনোমতেই অতিশায়ন নয়। আমি চাঁদপুরের মেঘনাপাড়ের ছেলে। বলা হয় ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর। সে হিসেবে ইলিশের সঙ্গে আমার নাড়ির সম্পর্ক। কি মৌসুম কি অমৌসুম বহুবার মেঘনায় জেলেদের সঙ্গে ঘুরেছি ইলিশের পিছু পিছু। ছোটবেলায় ছুটেছি অকারণ আবেগে, আর বড় হয়ে তথ্য সংগ্রহের তাগিদে। মৌসুমে রমরমা ইলিশঘাটের চিত্র দেখে বাল্যবেলাই বিমোহিত হয়েছি। শুনেছি চাঁদপুরের পুরাতন ইলিশঘাটের ইতিহাস ৪০০-৫০০ বছরের পুরনো। সেখানে সরাসরি লঞ্চ ভিড়ত কলকাতা থেকে। শৈশব থেকেই দেখেছি ঘাটে ইলিশ নিয়ে মাতামাতি, ইলিশের মৌসুম মানে রীতিমতো উৎসব। ইলিশের গন্ধমাখা চাঁদপুর যেন দুর্লভ ইতিহাসের সাক্ষী। তাই আমার কাছে বাড়ি যাওয়া মানেই ছিল ইলিশের কাছে ফেরা।

রুপালি শস্য ইলিশ পৃথিবীতে বাংলাদেশের পরিচয় বহন করে। সেদিন পত্রিকায় পড়েছিলাম, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সমন্বয়ে পরিচালিত এক গবেষণার বরাত দিয়ে বলছে, ইলিশই পৃথিবীর একমাত্র মাছ, যার ধর্মীয়, সামাজিক ও লোকসাংস্কৃতিক মূল্যমান আড়াই হাজার কোটি টাকার ওপরে। আমি মনে করি, ইলিশের স্বাদ ও ঘ্রাণ দিয়ে আমরা যেমন সারা বিশ্বে অনন্য হয়ে উঠতে পারি, তেমনি ইলিশ হয়ে উঠতে পারে আমাদের অর্থনীতির শক্তিশালী একটি ক্ষেত্র। সম্ভাবনাময় এ ক্ষেত্রের দিকে মনোযোগী হলে ইলিশ দিয়ে অর্থনীতিতে নতুন বিপ্লব ঘটানো অসম্ভব কিছু নয়।

ইলিশের ছোটবড় একাধিক মৌসুম। সাধারণত আগস্ট সেপ্টেম্বরের দিনগুলোই ইলিশের ভরা মৌসুম। কিন্তু আগস্টের মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা তীরবর্তী এলাকার খবর হলো- ভরা মৌসুমে ইলিশ নেই। জেলেরা খরচাপাতি করে নদীর গভীরে গিয়ে অনেকটা খালি হাতে ফিরে আসছে। এ খবরটিই আবার পাল্টে গেল কয়েক দিনের মধ্যে। পত্রিকার শিরোনাম দেখলেই বোঝা যায়। ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। ধরা পড়ছে বলেই দেশের বাইরে ইলিশ ভালো জায়গা দখল করেছে। বাস্তবতা এমন যে, ইলিশের সমারোহে অন্য মাছের দাম কিছুটা হলেও কমেছে।

ইলিশের উৎপাদন বাড়ানো ও রক্ষার নানা উদ্যোগই অব্যাহত আছে। তার মধ্যে আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে টানা ২২ দিন নদীতে ইলিশের ডিম ছাড়ার মৌসুমে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ। এ ছাড়া মাছ ধরার দুটি বন্ধের মৌসুম রয়েছে। কখনো শক্ত মনিটরিং থাকে, কখনো থাকে না। ইলিশের মৌসুমের এক চিত্র, আর ইলিশ বন্ধের মৌসুমের চিত্র আরেক। জেলেদের জীবন চলে খেয়ে না খেয়ে। পুনর্বাসন সহায়তা দেওয়া হয়, অনেক সময় তা অপ্রতুল। আমি বহুবার ইলিশ শিকারি জেলেদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের অভিযোগ ছিল, যারা প্রকৃত জেলে তাদের অনেকেই সরকারি সুবিধাগুলো পায় না। আবার ইলিশ বন্ধ মৌসুমে রাজনৈতিক বিবেচনায় অপেশাজীবীদের অনেকেই ভোগ করছে সেসব জেলের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি সুবিধাদি। ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে ২৪৬ কোটি ২৮ লাখ টাকার ‘ইলিশসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্প একনেক সভায় গত ২২ সেপ্টেম্বর অনুমোদন পেয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে জেনেছি, প্রকল্পের আওতায় মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন এবং অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন বাড়ানো, ৩০ হাজার জেলে পরিবারের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান, ১০ হাজার বৈধ জাল বিতরণ এবং মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে সচেতনতা সৃষ্টি করা হবে। নিঃসন্দেহে একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ। তবে ইলিশ নিয়ে আরও বৃহৎ পরিসরে চিন্তাভাবনার অবকাশ রয়েছে।

সেই আশির দশকের প্রথম ভাগ থেকেই চাঁদপুরের মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইলিশ গবেষণা কেন্দ্রের সঙ্গে আমার পেশাদারি সম্পর্ক। বহুবার মেঘনা, মেঘনার মোহনায় ইলিশের গবেষণা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরির জন্য গিয়েছি। জাটকা ও মা ইলিশ নিধন প্রতিরোধে প্রচার কর্মসূচি নিয়ে বেশ প্রতিবেদন তৈরির সময়ের কথা মনে হচ্ছে। তখন শিক্ষিত-অশিক্ষিত অনেকেই কারেন্ট জাল বলতে মনে করত যে জাল দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়, জালে কারেন্ট অর্থাৎ বিদ্যুৎ থাকায় ছোট-বড় সব মাছ আটকে যায়। কারেন্ট জাল ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো জেলেদের বোঝাতে হয়েছে। এতে সরকারি-অসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা রয়েছে। তাদের বোঝাতে হয়েছে, জালের ফাঁস হতে হবে ন্যূনতম সাড়ে ৬ সেন্টিমিটার। যখন বলেছি, মা ইলিশ ধরা যাবে না। তখন অনেককেই বলতে শুনেছি, ইলিশের আবার মা-বাপ কী! বোঝাতে হয়েছে, ডিমওয়ালা ইলিশকে মা মাছ বলা হয়। একটা মা ইলিশের পেটে থাকে ১০ লাখ ডিম। একটা মা ইলিশ মেরে ফেলা মানে ১০ লাখ ইলিশ মাছ নষ্ট করে দেওয়া। আগে ৯ ইঞ্চির চেয়ে ছোট আকারের ইলিশ মাছকে জাটকা বলা হতো। এখন ১০ ইঞ্চির থেকে ছোট মাছকে জাটকা বিবেচনা করে তা ধরার প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। একজন সচেতন মানুষ হিসেবে দাম যত কমই হোক জাটকা কেনা থেকে বিরত থাকা উচিত। গত বছরও আমি চাঁদপুরের ইলিশ গবেষণা কেন্দ্রের কার্যক্রম ঘুরে দেখে এসেছি। সে সময় বিস্তারিত কথা বলেছি প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আনিসুর রহমানের সঙ্গে। তিনি জানিয়েছিলেন, ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে উন্নত ইলিশ ব্যবস্থাপনা কৌশলের কারণে। তিনি জানান, ২০০০ সাল পর্যন্তও সারা বছর ইলিশের উৎপাদন ছিল এক থেকে দেড় লাখ টন। ২০১০ সালে ইলিশের উৎপাদন ছিল ৩ লাখ ১২ হাজার মেট্রিক টন। গত বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে উৎপাদন হয়েছে ৫ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন। উন্নত ইলিশ ব্যবস্থাপনার কৌশল গ্রহণের মাধ্যমে জাটকা সংরক্ষণ পদ্ধতির ওপর কাজ করার ফলে আস্তে আস্তে ইলিশ উৎপাদনও বাড়তে থাকে। এরপর ধাপে ধাপে নদী ও সাগরে জাটকা সংরক্ষণের পাশাপাশি মা ইলিশ রক্ষায় অভয়াশ্রম ঘোষণা ও প্রজনন সময়ে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। অত্যন্ত কঠোরভাবে অনুসরণের কারণে অনেক সমস্যার ভিতরেও নদীতে ইলিশের প্রাচুর্য বাড়ছে।

ইলিশের প্রাচুর্য নিয়ে এ উত্থান-পতন চলে আসছে বহুদিন। টানা কয়েক বছর নানামুখী উদ্যোগের কারণে ইলিশের প্রাচুর্য অনেক বেড়েছে বলে ধরা হচ্ছে। গত বছর এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ ইলিশ প্রাপ্তির হিসাব রয়েছে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইলিশ গবেষকদের কাছে। তা হচ্ছে ৫ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন। মৎস্য অধিদফতরের তথ্যমতে, বাংলাদেশে প্রতি বছর ৯-১০ শতাংশ হারে বাড়ছে ইলিশের উৎপাদন। গত নয় বছরের ব্যবধানে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে ৬৬ শতাংশ। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্থায়ীভাবে স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশের ইলিশ। ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে এ স্বীকৃতি বাংলাদেশের এক সুদূরপ্রসারী সাংস্কৃতিক অর্জন। ইলিশ এখন বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য। কিন্তু ইলিশ নিয়ে যতখানি আশা জমা হচ্ছে, সে হিসেবে ইলিশের প্রাপ্তি হচ্ছে কম। সাত দিন আগের তথ্য, সাগরে যে পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে, নদীতে তুলনামূলক সে পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কয়েক দিন আগে সাগরে ইলিশ যে হারে পাওয়া যাচ্ছিল, এখন আর সে হারে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জেলে ও মৎস্যজীবীরা।

ইলিশের প্রশ্নে নদীর চেয়ে সাগর অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ইলিশ আসলে সাগরের মাছ। তার জীবনচক্রের কয়েকটি সময়ে সে নোনাপানি ছেড়ে মিঠা পানির দিকে ধাবিত হয়। প্রকৃতির সঙ্গে মিশে বৈচিত্র্যময় জীবনচক্রের মধ্যে থাকে ইলিশ। সাগরে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকে। এ সময়টিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তবে জেলেদের সঙ্গে কথা বলে যা জানতে পেরেছি তা হলো, আমাদের এখানে জাটকা নিধন ও মা ইলিশ প্রতিরোধে যে সময়টি নির্ধারিত রয়েছে বঙ্গোপসাগরের ভারতীয় অংশে সে সময় উন্মুক্ত থাকে। সে সময়ে ভারতীয় বড় বড় ট্রলার আমাদের জলসীমায় ঢুকে ইলিশ আহরণ করে নিয়ে যায়। ফলে আমরা যে স্বার্থে ইলিশ নিধন থেকে বিরত থাকছি, তা ব্যাহত হচ্ছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের সুবিস্তৃত সমুদ্রসীমা ইলিশের এক বিরাট বিচরণ ক্ষেত্র। আমরা ব্লু ইকোনমি নিয়ে ভাবছি। আমরা শত বছরের ডেলটা পরিকল্পনা করছি। সেখানে আমাদের ইলিশসম্পদ নিয়ে কীভাবে আমাদের পরিকল্পনা সাজিয়েছি।

গত বছর চীনের চিংদাওয়ে অবস্থিত ওশান ইউনিভার্সিটিতে গিয়েছিলাম মাছ নিয়ে তাদের গবেষণা ও চিন্তাভাবনার বিষয়ে জানতে বুঝতে। সেখানে মৎস্য গবেষক প্রফেসর চুন লিওয়ের সঙ্গে কথা বলি, সমুদ্রসীমা ইলিশ তথা সব মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ, গবেষণা ও অন্যান্য বিষয়ে। তিনি বলেছিলেন, ইলিশের যে জীবনচক্র, সমুদ্র থেকে নদী পর্যন্ত যদি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া যায় তবে তার উৎপাদন বাড়বে। তার কথায় গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি উঠে এসেছে তা হলো, যেহেতু ইলিশের চারণ ক্ষেত্র বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের সীমানার অন্তর্ভুক্ত, তাই ইলিশ সুরক্ষায় সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে। অর্থাৎ একক প্রচেষ্টায় শতভাগ সফলতা আসবে না।

আমাদের সংস্কৃতি ও অর্থনীতিতে রুপালি ইলিশের অবদান অনস্বীকার্য। দেশে যে পরিমাণ মাছ বছরে উৎপাদিত হয় তার ১১ শতাংশই আসে ইলিশ থেকে। সারা বিশ্বের মোট ইলিশ উৎপাদনের ৭৫ শতাংশ আহরিত হয় বাংলাদেশ থেকে। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমারসহ আরও কয়েকটি দেশে ইলিশের উৎপাদন রয়েছে। প্রাকৃতিক সম্পদ রুপালি ইলিশের আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, রপ্তানিসহ এ শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত আছে দেশের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ মানুষ। এ ইলিশসম্পদের সুরক্ষা, প্রসার ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে আরও জাগিয়ে তুলতে বহুমুখী পদক্ষেপ প্রয়োজন। বিশেষ করে নাব্য রক্ষা ও দূষণ থেকে নদী বাঁচাতে হবে। আমাদের নদীতে ইলিশের প্রাচুর্য কমে যাওয়ার পেছনে এটিই অন্যতম কারণ। ইলিশের উৎপাদন টেকসই রাখতে নদীর পাশাপাশি সমুদ্রেও ইলিশ আহরণের ক্ষেত্রে আরও গবেষণার আলোকে কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিশেষ করে সমুদ্রের কোন অংশে ইলিশ বিচরণ করে তা গবেষণার মাধ্যমে বের করে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। সমুদ্রে ইলিশের বিচরণ ক্ষেত্রে নো ট্রলার জোন করতে হবে। ইলিশ উৎপাদনের বিষয়টি জলবায়ুর ওপরও অনেকটা নির্ভর করে। সব গবেষণা ও পরিকল্পনার মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট সামনে আনতে হবে। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইলিশের ডিম ছাড়ার সময়সীমার কোনো পরিবর্তন হচ্ছে কিনা তা যাচাই করতে হবে। জলবায়ুর সঙ্গে মিলিয়ে ইলিশের জীবনচক্র নিয়ে আরও গভীরতর গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।

এ ক্ষেত্রে একাডেমিক ও উন্নয়নের দৃষ্টিকোণ থেকে যেমন উদ্যোগ নিতে হবে, একই সঙ্গে ইলিশসম্পদের সঙ্গে নির্ভরশীল মৎস্যজীবীদের জীবন ও বাস্তবতাও মূল্যায়ন করতে হবে। তা হলেই ইলিশসম্পদ নিয়ে আমরা যেতে পারব বহুদূর।

 

লেখক : মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।

[email protected]

সর্বশেষ খবর