শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সড়ক নৈরাজ্য

যথেচ্ছতা সামাল দিন

সড়ক নৈরাজ্যের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে রাজধানীর দেড় কোটি মানুষ। করোনাকালে জীবিকার পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কয়েক লাখ মানুষ রাজধানী ছেড়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় রাজধানীতে যানজট হ্রাস পাওয়ারই কথা। কিন্তু সড়ক নৈরাজ্যের কারণে করোনাকালের আগের চেয়ে রাজধানীর বেশ কিছু সড়কে যানজট বেড়েছে। বিশেষ করে বাস চলে এমন সড়কগুলোয় চলছে বাসচালকদের যথেচ্ছতা। প্রায় অচল হয়ে পড়েছে প্রগতি সরণি থেকে মালিবাগ বাজার রেলগেট পর্যন্ত সড়কটি। শান্তিনগর থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত রাস্তায়ও সড়ক নৈরাজ্যের কারণে লেগে থাকে যানজট। বাসচালকরা যাত্রী নেওয়ার জন্য আড়াআড়ি বাস রেখে সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ ও সার্জনের ঘাটতি না থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তারা বাসচালকদের যথেচ্ছতায় নিশ্চুপ। শুধু রাজধানী নয়, সড়ক নৈরাজ্য ছড়িয়ে পড়েছে দেশের সব সড়ক-মহাসড়কেও। করোনাকালে যানবাহন কম চললেও বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। আগস্টেই সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ৪৫৯ জন। আহতের সংখ্যা যে কয়েক গুণ বেশি তা সহজে অনুমেয়। যার অনেককেই সারা জীবন পঙ্গু হয়ে থাকতে হবে। সড়ক নৈরাজ্য বন্ধে এগুলো দেখভাল করার দায়িত্ব যাদের তাদের মধ্যে কর্তব্যবোধের উন্মেষ ঘটাতে হবে। সড়কশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দেশবাসীর ট্যাক্সের টাকায় যে তাদের বেতন-ভাতা সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় তা তাদের উপলব্ধিতে আনা খুবই জরুরি। তা সম্ভব হলে সড়ক নৈরাজ্যের যে রমরমা চলছে তাতে লাগাম পরানো সম্ভব হবে। করোনাকালের আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে যানজট অনেকাংশে হ্রাস পেত। কিন্তু এখন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা সত্ত্বেও বাসচালকদের যথেচ্ছতার কারণে সড়কশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে। অকারণে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। ট্রাফিকব্যবস্থা দেখভালের দায়িত্ব যাদের এটি তাদের ব্যর্থতা বললে অত্যুক্তি হবে না। আমরা

আশা করব, সড়ক নৈরাজ্য সামাল দিতে তারা অতি সত্বর সক্রিয় হবেন। একে কর্তব্য বলে ভাববেন।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর