শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

নারী সহিংসতা

কঠোর হাতে দমন করতে হবে

করোনাভাইরাসের বিস্তারে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের অর্থনৈতিক খাতগুলো মুখ থুবড়ে পড়েছে। ঘরবন্দী হওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে মানুষ। এ ধরনের পরিস্থিতিতে নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ছে। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ)-এর এক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কভিড-১৯-এর কারণে নিম্নমধ্যম আয়ের ১১৪টি দেশে প্রায় ৪ কোটি ৭০ লাখ নারী আধুনিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে অনাকাক্সিক্ষত গর্ভধারণ ও অনিরাপদ গর্ভপাতের হার বাড়বে। করোনা সংক্রমণ শুরুর প্রথম দিকে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ থাকায় নির্যাতিত নারীরা চাইলেও কারও সহযোগিতা পাননি। এমনকি নারী যে তার বাপের বাড়ি গিয়ে আশ্রয় নেবেন সে সুযোগও ছিল না। ধর্ষণ বেড়েছে। সামাজিক নিরাপত্তার কারণে নারী নির্যাতন-সংশ্লিষ্ট মামলার আইনজীবীরা চাইলেও ভুক্তভোগীকে সহযোগিতা করতে পারেননি। থানাগুলোয়ও অনলাইনে মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট ও ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কাজ করতে সমস্যা হয়েছে। কয়েক মাসে দেশে আদালত বন্ধ থাকায় নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনাগুলো বৃদ্ধি পায়। জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৮৮৯ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয় ১৯২ জন। ধর্ষণের পর মৃত্যু ও আত্মহত্যা করেছে একাধিক নারী। এ আট মাসে স্বামীর নির্যাতনে মারা যায় ১৬৩ নারী। অনাকাক্সিক্ষত গর্ভধারণ, যৌতুক, শারীরিক নির্যাতন, অ্যাসিড হামলার শিকার হয়েছে অনেক নারী। সাধারণ সময়েও নারীর ওপর সহিংসতা হয় কিন্তু করোনায় অর্থনৈতিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন একসঙ্গে সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। নারীরা বন্দী হয়েই নির্যাতন সহ্য করেছে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে

আরও কঠোর হতে হবে। বাড়াতে হবে জনসচেতনতা।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর