সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সবার জন্য ভ্যাকসিন

শান্তির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলায় ভাষণ দিয়েছেন। ভার্চুয়াল এ অধিবেশনে আগে থেকে ধারণ করা ভাষণে তিনি সম্ভাব্য কভিড-১৯ টিকার সমান প্রাপ্তি নিশ্চিতের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। বলেছেন, বিশ্বের প্রতিটি নাগরিকের জন্য করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে হবে। কভিড-১৯ মহামারী আমাদের উপলব্ধি করতে বাধ্য করেছে যে, এ সংকট উত্তরণে বহুপাক্ষিকতাবাদের বিকল্প নেই। আমরা কেউই সুরক্ষিত নই, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা সবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারছি। তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে, কভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন বৈশ্বিক সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা প্রয়োজন। সব দেশ যাতে এ ভ্যাকসিন সময়মতো এবং একই সঙ্গে পায় তা নিশ্চিত করাও জরুরি। কারিগরি জ্ঞান ও মেধাস্বত্ব প্রদান করা হলে এ ভ্যাকসিন বিপুল পরিমাণ উৎপাদনের সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন, বাংলাদেশ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ দশমিক ২ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বাংলাদেশের ওপর চেপে বসা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও কার্যকর ভূমিকা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ যথাযথভাবে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভাবনা ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে ১৭ মিনিটের ভাষণে। দেশের মানুষকে রক্ষা এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে তাঁর সরকারের ঘোষিত ৩১ দফা নির্দেশনা এবং ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার বিষয়টি বিশ্বনেতাদের সামনে তুলে ধরা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা, সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ নিয়ন্ত্রণ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ছিল প্রশংসনীয়। কভিড-১৯ মহামারীর ফলে সৃষ্ট ঝুঁকি মোকাবিলায় জাতীয় উদ্যোগের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বিকল্প নেই। শান্তির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তা নিশ্চিত করা যেতে পারে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর