মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ

প্রবাসীদের কর্মস্থলে ফেরার বাধা দূর হোক

বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেকাংশে রেমিট্যান্স আয়ের ওপর দাঁড়িয়ে। দেশের ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান এবং অন্তত ৪ কোটি মানুষের জীবিকা এ খাতের ওপর নির্ভরশীল। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে রেমিট্যান্স আয়ের কোনো তুলনা নেই। করোনাকালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশিদের একাংশ বেকার হয়ে পড়েছে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে। বাংলাদেশে ছুটি কাটাতে এসে করোনার কারণে আটকা পড়েছে এমন প্রবাসী কর্মজীবীর সংখ্যা ৫০ হাজারের কম নয়। বিশেষ করে দেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরব থেকে করোনাকালে বা তার আগে আসা বিপুলসংখ্যক শ্রমিক আটকা পড়েছে। সৌদি আরবে যাওয়ার পর্যাপ্ত ফ্লাইট না থাকায় তাদের কর্মস্থলে ফেরায় সমস্যা হচ্ছে। সৌদি আরবে যাওয়ার ক্ষেত্রে ফ্লাইটের টিকিটই যথেষ্ট নয়, সরকারি হাসপাতাল থেকে করোনার নেগেটিভ সার্টিফিকেট প্রাপ্তির শর্তও জড়িত। ফলে আটকে পড়া প্রবাসী শ্রমিকরা পড়েছে মহাবিপাকে। একদিকে বিমানের টিকিট অন্যদিকে সরকারি হাসপাতাল থেকে করোনার নেগেটিভ সার্টিফিকেট পেতে অনেক কর্মজীবীর ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে। এ সংকটের অবসানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদের সঙ্গে ফোনালাপে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সুবিধার্থে ফ্লাইট বাড়ানোর অনুরোধ করেছেন। আকামা ও আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের জন্য তিনি সৌদি মন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন। বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট চালুর অনুমতি দেওয়ার জন্যও মন্ত্রীকে সাধুবাদ দিয়ে দাম্মাম রুটে আরও একটি ফ্লাইট চালুর অনুরোধ জানিয়েছেন। বর্তমানে রিয়াদ, জেদ্দা ও মদিনায় বিমান বাংলাদেশ চলাচল করছে। দাম্মাম রুটে চলাচলের অনুমতি পেলে প্রবাসীদের কর্মস্থলে ফেরা দ্রুততর হবে। সৌদি আরব বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু দেশ। পবিত্র দুই মসজিদের দেশ সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে ধর্মীয় সংবেদনশীলতাও জড়িত। আমরা আশা করব, দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ সম্পর্ক নিবিড় করার পাশাপাশি প্রবাসীদের কর্মস্থলে ফেরার গ্রন্থিমোচনে অবদান রাখবে। সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের

বাড়তি কর্মসংস্থানেও রাখবে অবদান।

সর্বশেষ খবর