বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ওসমানী বিমানবন্দর

আধুনিকায়নের উদ্যোগ সময়োপযোগী

বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটি মানুষ বিদেশে কর্মরত; যারা দেশে যাওয়া-আসা করেন আকাশপথে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিভিন্ন দেশের নাগরিকের সংখ্যাও কম নয়। নাড়ির টানে সুযোগ পেলেই যারা বাংলাদেশে যাওয়া-আসা করেন। কালের বিবর্তনে বাংলাদেশের অর্থনীতি যত শক্তিশালী হচ্ছে নাগরিকদের বিদেশ ভ্রমণ কিংবা চিকিৎসাসহ অন্য উদ্দেশ্যে বিদেশ যাওয়াও তত বাড়ছে। সময়ের চাহিদা পূরণে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আধুনিকায়ন প্রাসঙ্গিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা হচ্ছে চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্যের নতুন টার্মিনাল ভবন। শাহজালালের কার্গো ভবন, ফায়ার স্টেশন, কন্ট্রোল টাওয়ারসহ আরও বেশ কিছু উন্নয়নকাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। ২ হাজার ৩০৯ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে এসব উন্নয়নকাজের উদ্বোধন হবে ১ অক্টোবর। শাহজালাল বিমানবন্দর আধুনিকীকরণে সরকার অর্থায়ন করবে ২ হাজার ২৪৭ কোটি ৬৬ লাখ ৫৯ হাজার আর সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ব্যয় করবে ৬২ কোটি ১২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। ২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর একনেক সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে কাজ শুরুর কথা হলেও নানা জটিলতায় ২১ মাস পর তা বাস্তবায়ন শুরু হতে যাচ্ছে। বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হবে ৩৪ হাজার ৯১৯ বর্গমিটারের আধুনিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন। এ টার্মিনালে আটটি বিমান একসঙ্গে যাত্রী ওঠানো-নামানো করতে পারবে। এর বাইরে ৬ হাজার ৮৯২ বর্গমিটারের কার্গো ভবন, ২ হাজার ৪১৫ বর্গমিটারের ফায়ার স্টেশন, ২ হাজার ৭৭২ বর্গমিটারের কন্ট্রোল টাওয়ার, ১ হাজার ৩৯৫ বর্গমিটারের প্রশাসনিক ভবন, ৬০৬ বর্গমিটারের মেইনটেন্যান্স ভবন, ২ হাজার ৫২৪ বর্গমিটারের ইউটিলিটি ভবন এবং ৯ হাজার ২৯৯ বর্গমিটারের মধ্যে আবাসিক ভবন ও অন্যান্য স্থাপনা। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আধুনিকায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে যাত্রীসেবা বাড়বে। প্রবাসীদের দেশে যাওয়া-আসার আকর্ষণ কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পাবে। একনেকের বৈঠকে প্রকল্প পাসের পর বাস্তবায়নের দীর্ঘসূত্রতায় ইতোমধ্যে ২১ মাস কেটে যাওয়া দুর্ভাগ্যজনক। প্রকল্প বাস্তবায়নে যাতে দীর্ঘসূত্রতা না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর