শনিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

অধ্যক্ষ এ কে এম আবদুল্লাহর স্মৃতি

সলিমুল্লাহ খান

অধ্যক্ষ এ কে এম আবদুল্লাহর স্মৃতি

The wise man, a Greek
called the Dark One
was right, I
see it now:
I’ll never get there
by nightfall
and at night, asleep
I return to my beginning.
Pentti Saarikoski, Poems (1958), trans. Anselm Hollo

সম্প্রতি আমার বয়স ৬২ বছর পূর্ণ হইয়াছে। জীবনদেবতার ঋণ শোধ করিবার উপায় নাই। আমরা শুদ্ধ স্বীকার করিতে পারি। এই ৬২ বছরের একটি বছর আমার কাটিয়াছিল চট্টগ্রাম শহরের কেন্দ্রস্থল হইতে আনুমানিক পাঁচ মাইল উত্তরের সেনানিবাস এলাকায়। ওই বছরটি ছিল আমার নানা কারণে বিবর্ণ ছাত্রজীবনের উজ্জ্বলতম বছর। এই বছরটির কাছে আমি আরও নানাভাবে ঋণী। এই ঋণের জন্যে যে উত্তমর্ণের নাম আমি সর্বাগ্রে লইব তিনি চট্টগ্রাম সেনানিবাস উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালীন অধ্যক্ষ মহাত্মা এ কে এম আবদুল্লাহ। অনেকদিন পরে আমি জানিতে পারিয়াছি এ কে এম অক্ষরসমষ্টির সম্প্রসারণ হইবে আবুল খায়ের মোহাম্মদ। আমার এখন যে বয়স-১৯৭২ সালে আমি যখন সেনানিবাস উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হই-তখন অধ্যক্ষ মহোদয়েরও অনেকটা সেই বয়স। তিনি ছিলেন আকারে ছোটখাটো এবং খুবই গুরুগম্ভীর প্রকৃতির মানুষ। তাঁহার সহিত আমার জীবনে সব মিলাইয়া এক ঘণ্টার মতোও আলাপ হইয়াছে কিনা সংশয়। তবু তাঁহার সংস্পর্শে থাকিবার যে অসামান্য সৌভাগ্য আমার হইয়াছিল সে কথা এই প্রায় পঞ্চাশ বছরের মাথায় এক দিনের জন্যেও মলিন হয় নাই।

অধ্যক্ষ মহোদয়ের কথায় পৌঁছিবার আগে আমাকে অল্পের মধ্যে হইলেও দুটি নিজের কথা বলিতে হইবে। ১৯৭১ সালের গোড়ার দিকে আমরা নবম শ্রেণিতে নাম লিখাইয়াছি মাত্র। শুরু হইয়া গেল প্রথমে অসহযোগ আন্দোলন ও সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ। আমাদের আর পড়াশোনা হইল না। ১৯৭২ সালের গোড়ায় দেখা গেল দেশের শিক্ষাব্যবস্থার প্রায় পুরোটাই ভাঙ্গিয়া পড়িয়াছে। আমাদের অব্যবহিত আগের দুই বছরের পরীক্ষা সংক্ষেপে-মাত্র ৩০০ নম্বর করিয়া-সারা হইয়াছে। দেশের চারিদিকে যে অবস্থা তাহাকে অরাজক বলিলে খুব বেশি বলা হয় না।

১৯৭২ সালের মধ্যভাগ পর্যন্ত আমি ছাত্র ছিলাম-তখনকার চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্ভুক্ত (এখনকার জেলা ককসবাজারে) মহেশখালী থানার একটি অখ্যাত বিদ্যালয়ে। ওই বিদ্যালয় হইতে ১৯৬৪ সালের পর কেহ মাধ্যমিক স্কুল ছাড়পত্র পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে পাশ করিয়াছেন এমন প্রমাণ ছিল না। আমি একদা দুটি ছাত্রবৃত্তি পরীক্ষায় মর্যাদার সহিত পাশ করিয়াছিলাম। স্বাধীনতার পর মাধ্যমিক পরীক্ষায় আদৌ পাশ করিব কিনা সংশয়। তাই আমার বাবা সিদ্ধান্ত নিলেন আমাকে অন্য কোথাও লইয়া যাইবেন। আমরা তখন কিছু না পড়িয়াই দশম শ্রেণিতে উঠিয়া গিয়াছি। সৌভাগ্যক্রমে তখন আমার বড় ভাই-পরবর্তীকালের অধ্যাপক আমান উল্লাহ খান-চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে পড়িতেন। থাকিতেন চট্টগ্রাম সেনানিবাসের পূর্বদিকের একটি উন্নত গ্রামে। সেই গ্রামের কিছু ছেলেমেয়ে সেনানিবাস উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করিতেন। প্রতিদিন সকাল ৭টার আগে স্কুলের বাস আসিয়া তাহাদের লইয়া যাইত। আমার ভাইয়ের ইচ্ছা হইল নিজের ভাইটিকে রক্ষা করিবেন। তাহাদের দেখাদেখি তিনি সেনানিবাস উচ্চ বিদ্যালয়ের সহিত যোগাযোগ করিলেন।

মহেশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় হইতে ছাড়পত্র লইয়া আমি সেনানিবাস উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রামে ভর্তি হইয়াছিলাম ১৯৭২ সালের মাঝামাঝি কোনো এক সময়ে। সময়টা জুন কিংবা জুলাই হইতে পারে। ওই বিদ্যালয়ে তখন ছাত্র ভর্তির মৌসুম আসে নাই। তবু যে আমাকে সেখানে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হইয়াছিল তাহার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মহাত্মা এ কে এম আবদুল্লাহ মহোদয়ের। আমার বাবার উদ্যোগ, বড় ভাইয়ের তৎপরতা এবং অধ্যক্ষ মহোদয়ের অনুগ্রহ-এই তিনে মিলে আমার জীবনে একটা উল্লেখযোগ্য স্মৃতির সূচনা হইল।

অধ্যক্ষ মহোদয়ের অনুগ্রহ নিতান্ত তাঁহার বিদ্যালয়ে রবাহুত একটি নবীন ছাত্রের ভর্তির মধ্যেই সীমিত ছিল না। তিনি যত দিন ওই বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন তত দিন নিখরচায় আমার থাকার আর খাওয়ার বন্দোবস্তও করিয়াছিলেন। সে বছর তাঁহার অনুগ্রহ না ঘটিলে আমার জীবনের গতিপথ হয়তো অন্যরকম হইত। আমার দুর্ভাগ্যের মধ্যে, এই বন্দোবস্তটা বেশিদিন স্থায়ী হয় নাই। ১৯৭৩ সালের গোড়ার দিকে একদিন শুনিতে পারিলাম অধ্যক্ষ মহোদয় এই বিদ্যালয়ের চাকরিটা ছাড়িয়া দিবেন। তখন রমজান মাস আসন্ন। প্রায় নয় মাস হইয়াছে গ্রামের বাড়ি যাওয়া হয় নাই আমার। আমার এখনো মনে আছে, বাবা আমাকে লইতে সেনানিবাসে আসিয়াছেন। তখন বেশ সকাল সকাল। অধ্যক্ষ মহোদয়ের বাংলোর বারান্দায় দাঁড়াইয়া আছেন তিনি। আমি পরিবারের সকল সদস্যের কাছে বিদায় লইতেছি। এই একটা পিতৃস্মৃতি আমার মনে গাঁথিয়া আছে আজও।

আগেই বলিয়াছি, অধ্যক্ষ মহোদয় ছিলেন অতি স্বল্প ও মৃদুভাষী মানুষ। তিনি আমাকে মাথায় হাত বুলাইয়া আশীর্বাদ করিয়াছিলেন। আর তাঁহার সন্তানদের মধ্যেও একজনকে দেখিলাম একটু ভিতরে দাঁড়াইয়া আছেন। তাহার চোখ হইতে একবিন্দু অশ্রু দেখিলাম টস করিয়া সোজা মেঝেয় পড়িল। মানুষের অশ্রুবিন্দু এত ভারি হইতে আমি এ জীবনে এর পরেও আর কোথায়ও দেখি নাই। ঈদের ছুটির পর যখন ফিরিব তাঁহাদের সহিত আর দেখা হইবে না। জীবন এই রকমই।

অধ্যক্ষ এ কে এম আবদুল্লাহর সকল কীর্তির বিবরণ দেওয়ার সাধ্য আমার নাই। আমি শুদ্ধ তাঁহার মহত্ত্বের একটি অধ্যায় এখানে অক্ষম অক্ষরে লিখিবার চেষ্টা করিতেছি। তিনি লেখাপড়ায় যে রকম কীর্তির অধিকারী ছিলেন তাহা দেখিয়াছিলাম একটি শব্দে। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হইতে পাওয়া ‘সোনার মেডেলধারী’ এই কথাটি দেখিয়াছিলাম তাঁহার নামের পাশে কালো অক্ষরে মুদ্রিত। জানিতে পারিয়াছিলাম তিনি এম এ পাশ করিয়াছিলেন আরবি ভাষা ও সাহিত্যে। আমাদের উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনি সম্ভবত ইংরেজিই পড়াইতেন। তাঁহার অনেক কন্যার এক কন্যা-শ্রীমতী খালেদা বেগম-ছিলেন দশম শ্রেণিতে আমার সহপাঠী। তাঁহার দোহাই-শুনিয়াছি অধ্যক্ষ মহোদয় উর্দু আর ফার্সি ছাড়াও পশতু ভাষায়ও সক্ষম ছিলেন। কেহ যদি এই অধ্যক্ষ মহোদয়ের পূর্ণাঙ্গ জীবনকথা লিখিতেন আমরা বিংশ শতাব্দীতে বাঙ্গালি মুসলমান সমাজের গতিপথ সম্বন্ধে বিশদ জানিতে পারিতাম। তিনি প্রথম জীবনে মাদ্রাসা শিক্ষা শেষ করিয়া পরে ইংরেজি শিক্ষার জগতে প্রবেশ করিয়াছিলেন। বিশাল সংসারের টানে তিনি জ্ঞানবিজ্ঞানের জগতে যাহা করিতে পারিতেন তাহার বেশির ভাগই অর্জন করেন নাই।

ঈদের ছুটির পর যখন আবার ফিরিয়া আসিলাম, দেখিলাম অধ্যক্ষ মহোদয়ের হলুদ রঙ্গের বাংলোটি খাঁখাঁ করিতেছে। আমি থাকিতাম পাশের তিনটি বাসার একটিতে। ওই বাসাটি ছিল বিদ্যালয়ের অন্যতম প্রবীণ শিক্ষক নূরুল আলম সাহেবের। চট্টগ্রাম সেনানিবাসে আমার বাকি দিনগুলি কাটিয়াছিল গভীর মনোযোগসহকারে পড়াশোনায় ডুব দিয়া। আমার দাওয়া খাওয়ার নতুন ব্যবস্থা হইয়াছিল অদূরের একটি লঙ্গরখানা হইতে। লঙ্গরখানাকে সেখানে বলিত ‘মেস’। জুনিয়র কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের মেস হইতে ডালডা বনস্পতি ঘি-মাখানো ডাল আর ফৌজি পরাটা খাইয়া আমার কিছুটা ওজন লাভ হইয়াছিল। বন্ধুবান্ধবের ভাষায় স্বাস্থ্যটা ভালো হইয়াছিল। অধ্যক্ষ মহোদয়ের বিদায়ের পরে সেনানিবাস উচ্চ বিদ্যালয়ে আমি দিন কাটাইয়া কোনোরকমে বসবাস করিয়াছিলাম। দুই যুগের আকাশপাতাল পার্থক্যটা এখনো ভুলি নাই। অধ্যক্ষের আগের যুগ ও পরের যুগ।

সেনানিবাসে থাকিবার ফলে আমার মাঝেমধ্যে শহরে যাওয়া আসা করিবার পথ সহজ হইয়াছিল। তখনকার অল্প সামর্থ্যরে মধ্যেও শহরে গিয়া দুই চারিটা পত্রপত্রিকা আর বইপুস্তক কিনিয়া আনিতাম। তখন শহরের প্রসিদ্ধ লালদীঘির মাঠের এককোনায় একটি ব্রিটিশ কাউন্সিল লাইব্রেরি ছিল। মনে পড়ে দুই চারিবার সেই লাইব্রেরিতেও পৌঁছাইতে পারিয়াছিলাম। চট্টগ্রাম সেনানিবাস উচ্চ বিদ্যালয় আমাকে ছাত্র হিশাবে গ্রহণ করিয়া যে অপরিশোধ্য ঋণদান করিয়াছিলেন তাহা আমার বিচারে একমাত্র অধ্যক্ষ আবুল খায়ের মোহাম্মদ আবদুল্লাহর কীর্তি। এই অনুগ্রহটা তিনি না করিলেও পারিতেন। অনেকদিন পরে বুঝিয়াছি তাঁহার নিজের ছাত্রজীবনের কোনো ছায়া হয়তো আমার মাথায় পড়িয়াছিল।

অধ্যক্ষ মহোদয় চলিয়া গেলেন কেন-তাহার উত্তর আমি আর কোনোদিন খুঁজিয়া পাই নাই। অন্য শিক্ষক মহোদয়েরাও বিশেষ কিছু বলেন নাই। শুদ্ধমাত্র জানিতে পারিলাম-তাহাও কর্মচারী মহলের কানাঘুষায়-এই বিদ্যালয়ের পরিচালনা কর্তৃপক্ষ বিশেষ করিয়া সেনানিবাস বোর্ডের প্রশাসনিক কর্মকর্তার সহিত তাঁহার মতের অমিল হইয়াছিল। তাঁহার প্রাপ্য অনেক বেতন-ভাতা নিতেও তিনি আর ফেরেন নাই ওখানে। আত্মমর্যাদাসম্পন্ন বড় মানুষেরা এমনই হইয়া থাকেন।

অধ্যক্ষ এ কে এম আবদুল্লাহ ১৯৬৯ সালের কোনো একসময় এই বিদ্যালয়ের কাজে নিয়োজিত হইয়াছিলেন আর ১৯৭৩ সালের গোড়ার দিকে এই কাজ ছাড়িয়াছিলেন। মাঝখানে ১৯৭১ সালেও তিনি চট্টগ্রাম সেনানিবাসেই ছিলেন। তাঁহার পরিবারের উপর দিয়া যে অবর্ণনীয় ঝড়ঝাপটা বহিয়া গিয়াছে তাহার কিছু কিছু শুনিয়াছিলাম। তাঁহার বেশির ভাগ ছেলেমেয়ে বয়সে আমার ছোটই হইবেন। তাঁহারাও দেখিতাম বিমল মিত্রের ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ জাতীয় ঢাউস ঢাউস বই পড়িতেছেন। আমার তখনও ওই আকারের মোটা বই পড়িবার সাহস হয় নাই। অনেকদিন পরে আমার সহপাঠী বন্ধু খালেদা বেগমের মুখে শুনিয়াছি অধ্যক্ষ মহোদয় তাঁহার পরিবারের সদস্যদের কাছে আমার পরিচয় দিয়াছিলেন এই বলিয়া : ‘দশম শ্রেণিতে একটি ছাত্র ভর্তি হইয়াছে। সে মাধ্যমিক স্কুল ছাড়পত্র পরীক্ষায় জায়গা দখল করিবে।’ সেই কারণে কিনা জানি না, এই অসাধারণ পরিবারের ¯েœহ ও বন্ধুত্ব আজও আমার জীবনের অনুপার্জিত এবং অনতিক্রম্য সম্পদ।

১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে মাধ্যমিক স্কুলের শেষ পরীক্ষা শেষ করিয়া আমি বাড়ি ফিরিয়াছিলাম। সেনানিবাসে আমার আর ফেরার কারণ ঘটে নাই। পরীক্ষায় আমি পাশ করিয়াছিলাম। দুঃখের মধ্যে, একই বছরের ডিসেম্বরে আমার পিতৃদেব স্বর্গগত হইলেন। তিনি আমার পাশ করাটা দেখিয়া যান নাই। দুর্ভাগ্যের কথা, আমার পিতৃদেব এবং অধ্যক্ষ আবদুল্লাহ মহোদয় যে জায়গায় আমাকে কল্পনা করিয়াছিলেন আমি সেই জায়গায় পৌঁছাইতে পারি নাই। কিন্তু আমার হৃদয়ে তাঁহাদের যে জায়গা তাহার উপরে আর কোনো জায়গা নাই। আজ কুড়ি বৎসরের অধিক হইল অধ্যক্ষ এ কে এম আবদুল্লাহ ইহলোক ত্যাগ করিয়াছেন। আর আমার বাবার পরলোকযাত্রার পঞ্চাশ বছর হইতে মাত্র তিন বছর বাকি। আহা, আমার বড় ভাই-যিনি আমাকে এই অসামান্য বিদ্যালয়ের ছাত্র বানাইবার অসম্ভব সাধনা করিয়াছিলেন-আজ প্রায় তিরিশ বছর হইল তিনিও আমাদের ইহজগৎ ছাড়িয়া গিয়াছেন। জীবন এরকমই। আমার মনে হয় যত দিন নিঃশ্বাস লইতে পারিব তত দিন আমার পিতৃদেব, আমার দেবতুল্য বড় ভাই এবং পিতৃতুল্য অধ্যক্ষ মহোদয়ও এই ভূলোক ছাড়িতে পারিবেন না। আদ্যকালের সাধক এরাক্লেতোসের সঙ্গে গলা মিলাইয়া আজও বলিতে ইচ্ছা করে : সন্ধ্যা ঘনাইবার আগে লক্ষ্যে পৌঁছাইতে পারিব না জানি। পথিমধ্যে রাত্রি নামিবে। ঘুমের মধ্যে যেখানে হইতে যাত্রা করিয়াছিলাম সেখানেই ফিরিব।

লেখক : শিক্ষাবিদ।

সর্বশেষ খবর