রবিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

নিত্যপণ্যে আগুন

সংকট মোকাবিলায় নজর দিন

জিনিসের দাম বাড়লে মানুষের দাম কমে এটি প্রবাদসম বাক্য। করোনাকালে দেশের লাখ লাখ মানুষ যখন বেকার, সরকারি কর্মচারী ছাড়া প্রায় সব পেশার মানুষের আয় কমেছে তখন নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি গরিব ও নিম্নমধ্যবিত্তদের জীবন যে দুর্বিষহ করে তুলেছে তা সহজে অনুমেয়। চাল ও সব ধরনের সবজির মূল্য বৃদ্ধিতে চোখে শর্ষে ফুল দেখছে সাধারণ মানুষ। সবজির দাম অন্য সময়ের চেয়ে এখন গড়ে তিন গুণ বেশি। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রধান কারণ অতিবৃষ্টি ও একের পর এক বন্যায় ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। টিসিবির পক্ষ থেকে কিছু কিছু নিত্যপণ্য খোলাবাজারে বিক্রি হলেও সার্বিকভাবে তা খুব একটা ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখতে পারছে না। সবজির বাজার স্বাভাবিক পর্যায়ে আনার একমাত্র উপায় দ্রুত কৃষি পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। এ ক্ষেত্রে কৃষি অধিদফতর বেশ আগে থেকেই কাজ শুরু করেছে। ফলে কষ্টকর হলেও ভোক্তাদের নতুন ফসল ওঠার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। বিকল্প উপায় রয়েছে বিদেশ থেকে সবজি আমদানি করা। তাতে যে খরচ পড়বে তা ভোক্তাদের জন্য কোনো সুখবর বয়ে আনবে না। এ বছর করোনার মহাবিপর্যয়ের মধ্যে একের পর এক বন্যা, অতিবর্ষণ এবং উজান থেকে আসা ঢল দেশের কোটি কোটি মানুষের জীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। বন্যা উপদ্রুত এলাকার মানুষের দুর্ভোগ সহজেই অনুমেয়। কিন্তু যেসব এলাকায় বন্যা ছোবল হানতে পারেনি সেখানকার মানুষও দুর্ভোগে রয়েছে নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায়। এবারের বন্যা, জলবায়ুর অশুভ পরিবর্তনে দেশ কতটা ঝুঁকির মুখে তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। দেশের একাংশ বন্যাকবলিত হলে সারা জাতিকে যে দুর্ভোগে পড়তে হয় সে সত্যটিও স্পষ্ট করেছে। আমরা সরকারের কাছে আশা করব, যেহেতু পরিস্থিতির রাতারাতি ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানোর মতো কোনো আলাদিনের চেরাগ তাদের হাতে নেই, সেহেতু তাদের সাধ্যে যেটুকু আছে তা যেন ঠিকমতো প্রতিপালিত হয়।

এজন্য পণ্যমূল্য সহনশীল রাখতে টিসিবির মাধ্যমে খোলাবাজারে নিত্যপণ্য বিতরণ বাড়াতে হবে। পরিবহন চাঁদাবাজি বন্ধেও নিতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর