রবিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

বানভাসি মানুষের দুর্দশা

পুনর্বাসনে জোর দিতে হবে

অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে আসা ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী। আবহাওয়া বিভাগ সামনে আরও বৃষ্টির যে পূর্বাভাস দিয়েছে তাতে পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। এটা স্পষ্ট, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলার আগাম প্রস্তুতি সরকারি তরফে ছিল বলে মনে হয় না। ফলে পানিবন্দী মানুষ খাদ্য, পানি ও প্রয়োজনীয় ওষুধের অভাবে দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। পাঁচ-ছয় বছর ধরে দেশে বন্যা বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে বন্যা বেড়ে যাওয়ার যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, ক্রমেই তা দৃশ্যমান হচ্ছে। সামনের দিনগুলোয় বন্যা আরও তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে বলে মনে করছেন পানি বিশেষজ্ঞরা। গত পাঁচ বছরে বন্যার পানি বৃদ্ধির পরিমাণ চারটি রেকর্ড ভেঙেছে। শুক্রবার নয়টি নদ-নদীর পানি ১৪টি পানিসমতল স্টেশনে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-মধ্যাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার নিম্নাঞ্চল। ঘরে পানি উঠে যাওয়ায় অনেক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও উঁচু সড়কে। টানা দেড় মাসের বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগে ফের বন্যার আঘাতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে এসব এলাকার মানুষ। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বানভাসি মানুষ। করোনার কারণে কারখানাগুলো বন্ধ থাকায় হাজার হাজার শ্রমিক বেকার জীবন কাটাচ্ছে। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলোয় অবকাঠামো নির্মাণের ধরন পাল্টাতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ তৎপরতা শুরু ও দুর্গত মানুষের পুনর্বাসন করাই সরকারের এ মুহূর্তের করণীয়।

সর্বশেষ খবর