সোমবার, ৫ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা
বিচিত্রতা

সাইক্লিং

ব্রিটিশ জার্নাল অব স্পোর্টস মেডিসিনের এক গবেষণায় জানা যায়, সাইকেল অর্থাৎ বাইসাইকেল চালানো হাঁটা এবং সাঁতার কাটার মতো এক উৎকৃষ্ট ব্যায়াম। নিয়মিত সাইকেল চালানো শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে রক্তের কলেস্টেরলের মাত্রা কমে। রক্তচাপও কমে। সপ্তাহে ৩৫ কিলোমিটারের মতো পথ সাইকেল চালালে করোনারি হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে যায় ৫০ শতাংশেরও বেশি। নিয়মিত সাইকেল চালানো শরীরের ওজন কমাতে সহায়ক। সাইকেল চালালে শরীরের জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পায়। ঘণ্টায় মোটামুটি ২০ কি.মি. গতিতে সাইকেল চালালে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৫০০ ক্যালরি শক্তি খরচ হয়। ব্রিটিশ জার্নাল অব স্পোর্টস মেডিসিনের এক গবেষণার কথা এটি। এত এনার্জি খরচ হয় বলে নিয়মিত সাইকেল চালালে যারা মোটা তাদের বাড়তি ওজন কমে শরীরের ওজন হয়ে যায় স্বাভাবিক। নিয়মিত সাইকেল চালালে মোটা লোকদের স্বাভাবিক ওজন ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা ৮৫ শতাংশ। এ তথ্য পাওয়া গেছে আর্কাইভস অব পেডিয়েট্রিকস অ্যান্ড অ্যাডোলসেন্ট মেডিসিন নামক জার্নালের এক সংখ্যায়। আর যাদের শরীরের ওজন স্বাভাবিক নিয়মিত সাইকেল চালালে তাদের শরীরের ওজন বাড়ার সম্ভাবনাও যথেষ্ট কম থাকে। প্রিভেনটিভ মেডিসিন নামক এক জার্নালে অস্ট্রেলিয়ার লোকদের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা তাদের কর্মক্ষেত্রে  সাইকেল চালিয়ে যান তাদের মোটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা মাত্র ৪০ শতাংশ। পক্ষান্তরে, যারা তাদের কর্মস্থলে গাড়িতে চড়ে যান তাদের মোটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি, প্রায় ৬১ শতাংশ। নিয়মিত সাইকেল চালালে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। রক্তচাপ কলেস্টেরল এবং শরীরের ওজন কমালে কিংবা শরীরের ওজন সঠিক রাখলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কমে। নিয়মিত  সাইকেল চালালে পাওয়া যাবে নানা উপকার। মুক্ত বাতাসে সাইকেল চালনায় শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বেড়ে যায়। ফলে ফুসফুসে অক্সিজেন সরবরাহ হয়। এতে ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বেড়ে যায়।

                আফতাব চৌধুরী।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর