সোমবার, ৫ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনার হালচাল

সচেতনতা বাড়াতে হবে

যুদ্ধ জয়ের জন্য কখনো কখনো রক্ষণাত্মক কৌশল উত্তম। আবার কোনো কোনো যুদ্ধে জেতার জন্য নিতে হয় আক্রমণাত্মক কৌশল। এক দেশের সঙ্গে আরেক দেশের বাস্তবতার ক্ষেত্রে এটি যেমন প্রযোজ্য, তেমনি প্রযোজ্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলায়ও। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে বিশ্ব এক কঠিন যুদ্ধে অবতীর্ণ। এটা এমন এক নতুন সংকট, যা মোকাবিলার স্বতঃসিদ্ধ কোনো কৌশল কারও জানা নেই। ফলে যে যার মতো পদক্ষেপ নিয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে দেশে মোট করোনা সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬৫ জনে। আর মোট মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৩২৫। মোট সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৮০ হাজার ৬৯ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু কমছে। গত দুই সপ্তাহের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রতিদিন মৃত্যুর সংখ্যা গড়ে ৩০-এর নিচে নেমে এসেছে। করোনা সংক্রমণের ৩০তম সপ্তাহ ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর শনিবার শেষ হয়েছে। শেষ হওয়া সপ্তাহে করোনায় আক্রান্ত ১৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সুস্থ ও মৃত রোগী বাদে ঈদের পর সর্বনিম্ন শনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগী আছে ৮২ হাজার ১৭১ জন। ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার। এখন দেশে সংক্রমণের সপ্তম মাস চলছে। শুরুর দিকে সংক্রমণ ধীর থাকলেও মে মাসের মাঝামাঝি থেকে পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। জুনে তা তীব্র আকার নেয়। জুলাইয়ের শুরু থেকে নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যা কমতে থাকে। এ সময় পরীক্ষাও কম হয়। করোনা সংক্রমণ এড়াতে বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।  এ ক্ষেত্রে সচেতনতার বিকল্প নেই এবং তা আরও বাড়াতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর