আজকের শিশু আগামী দিনের নাগরিক। দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ শিশুদের মানসিক বিকাশ, সাংস্কৃতিক চর্চা ও খেলাধুলার সুযোগ তাদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে পাথেয় হিসেবে কাজ করে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, জনসংখ্যার ভারে নুব্জে পড়া এ দেশে শিশু-কিশোরদের বিকাশের পথগুলো ক্রমান্বয়ে সংকুচিত হয়ে পড়ছে। এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ছে শিশুদের ওপর। তাদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সাংস্কৃতিক চর্চার অভাবে মনোবৈকল্যের শিকার হচ্ছে শিশুরা। খেলাধুলার সুযোগ সংকুচিত হয়ে পড়ায় শিশুদের বিপথগামী হওয়ার বিপদ বাড়ছে। আশার কথা, এসব সীমাবদ্ধতা ও বৈপরীত্য কাটিয়ে উঠতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের শিশু-কিশোরদের মানসিক বিকাশ, সাংস্কৃতিক চর্চা ও খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টিতে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। বিশ্ব শিশু অধিকার দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০২০-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘোষণা তাৎপর্যপূর্ণই শুধু নয়, দেশ গঠনে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে বলে আমাদের বিশ্বাস। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকার শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে যে কোনো ধরনের শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। আমরা চাই, আমাদের শিশুরা নিরাপদ থাকবে, সুন্দরভাবে বাঁচবে এবং মানুষের মতো মানুষ হবে। এ পৃথিবীটা শিশুদের জন্য নির্ভরযোগ্য, শান্তিপূর্ণ, বাসযোগ্য স্থান হবে। যেখানে প্রতিটি শিশুর একটি ভবিষ্যৎ গড়ে উঠবে। শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ। কাজেই সঠিকভাবে তাদের মেধা ও জ্ঞান বিকাশের সুযোগ আমাদেরই করে দিতে হবে। সেজন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি জরুরি। শিশুদের জন্য প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের যে ঘোষণা দেশের সরকারপ্রধান দিয়েছেন তা বাস্তবায়ন হলে গ্রামের শিশুদের সুষ্ঠু বিকাশের পথ অনেকাংশে খুলে যাবে। আমরা আশা করব একই সমস্যা যেহেতু নগর-মহানগরগুলোয়ও রয়েছে সেহেতু নগর-মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে শিশুদের মানসিক বিকাশে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। পার্ক ও খেলার মাঠগুলো দখলমুক্ত করা হবে।