শুক্রবার, ৯ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

খালে ফ্রিজ-টিভি লেপ-তোশক

ডিএনসিসির তদারকি নিশ্চিত করতে হবে

রাজধানী ঢাকার অপরিচ্ছন্ন চেহারা দূর করতে দুটো সিটি করপোরেশন দায়িত্ব পালন করলেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে নাগরিক সচেতনতার ভীষণ অভাব। প্রতিদিন ঢাকার দুই সিটিতে প্রায় ৬ হাজার ২৫০ টন বর্জ্য তৈরি হয়। কিন্তু মেগাসিটি ঢাকায় এখনো আধুনিক, টেকসই ও উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠেনি। ফলে রাজধানীর বর্জ্য পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা না গেলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে। দৈনিক যে পরিমাণ বর্জ্য হয় তার পুরোটা সিটি করপোরেশনকে সংগ্রহ করতে হিমশিম খেতে হয়। অসংগৃহীত বর্জ্য খাল-নালায় ফেলা হচ্ছে নির্বিচারে। বর্জ্য রিসাইকেলের পরিমাণও কম। যেসব পরিচ্ছন্নতা কর্মী বর্জ্য সংগ্রহ করেন, তাঁদের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টিও উপেক্ষিত। বুধবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা রাজধানীর মিরপুরের দক্ষিণ বিশিলের গোদাখালী খাল পরিষ্কার করতে গিয়ে জাজিম, তোশক, সুটকেস, লাগেজ, ফ্রিজ, টেলিভিশন, চেয়ার, টেবিল, কমোড, স্কুলব্যাগ, গাড়ির টায়ারসহ ২০০ ট্রাক ডাবের খোসা উদ্ধার করেছেন। এসব জিনিসপত্র নিয়ে খালের পাশে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) বলছে, খাল, ডোবা, নালা অপরিষ্কার পাওয়া গেলে ২০ অক্টোবর থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিপূর্বে এডিস মশা থেকে নগরবাসীকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য চিরুনি অভিযান চালানো হয়। একইভাবে আসন্ন শীত মৌসুমে নগরবাসীকে কিউলেক্স মশা থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা নেবে সিটি করপোরেশন। এর আগে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় একাধিক প্রকল্প নেওয়া হলেও সমন্বয়হীনতা ও অব্যবস্থাপনার কারণে সেসব ব্যর্থ হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে অনেক মডেলের প্রস্তাব রয়েছে। এগুলো ছোট বা মাঝারি আকারে পাইলট ভিত্তিতে প্রয়োগ করে দেখা যেতে পারে। করোনা মহামারীর মধ্যে ঢাকার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। এ ব্যাপারে ডিএনসিসির তদারকি নিশ্চিত করতে হবে। ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে জনসচেতনতার বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর