শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ

অর্থনীতির গতি ধরে রাখতে কাজে দেবে

রিজার্ভের বেশ কয়েকটি উৎস রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে বড় ভূমিকা রাখছে প্রবাসী আয়। প্রবাসীরা অর্থ পাঠানো বাড়িয়ে দিয়েছেন। গত জুলাই-সেপ্টেম্ব^র সময়ে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি ৪৬ শতাংশ। রপ্তানিও ঋণাত্মক ধারা থেকে ফিরে এসেছে। এখন পর্যন্ত রপ্তানির প্রবৃদ্ধি প্রায় ২ শতাংশ। তবে আমদানিতে তেমন গতি নেই। আবার মহামারীর কারণে দাতাদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে ঋণ সহায়তা। বিদেশে যাওয়া প্রায় বন্ধ। ফলে ডলারের ওপর চাপ নেই। এসব কারণেই নতুন নতুন রেকর্ড করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ। করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও দেশে ১৯৬ কোটি ৩৯ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৬ হাজার ৬৯৩ কোটি টাকা। এদিকে প্রবাসী আয়, রপ্তানি আয়, বিদেশি ঋণ ও সহায়তার ওপর ভর করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন (৪ হাজার কোটি) ডলারের নতুন মাইলফলক অতিক্রম করেছে। প্রতি মাসে ৪ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে মজুদ বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে ১০ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। এখন  বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসা বেড়েছে। রপ্তানিও কিছুটা বেড়েছে। এ ছাড়া আমদানি ব্যয়ের চাপ কম। পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও জাইকার বৈদেশিক ঋণ সহায়তা এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীর ঋণ ও অনুদানও বেড়েছে। এদিকে চলতি অর্থবছরের তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রেমিট্যান্স এসেছে ৬৭১ কোটি ৩০ লাখ ডলার। ব্যাংকাররা বলছেন, অনেকে জমানো টাকা দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। অনেক দেশে করোনার কারণে বিশেষ ভাতাও পেয়েছেন প্রবাসীরা। সেসব অর্থ তারা দেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আবার প্রবাসী আয়ে ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা পেতে দেশের টাকা দেশে আসছে কিনা, এ নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বেশ কয়েকজন ব্যাংকার। চলতি অর্থবছর রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা অব্যাহত রাখা হয়েছে। সংকটে পড়লে এ রিজার্ভ অর্থনীতির গতি ধরে রাখতে কাজে দেবে।

আমদানি দায় মেটাতে সমস্যায় পড়তে হবে না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর