শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা
ধর্মতত্ত্ব

ধর্ষককে জনসম্মুখে শাস্তি দিতে বলে ইসলাম

মাহমুদুল হক জালীস

ধর্ষণ করার অপরাধে জনসম্মুখে (অবিবাহিত) ধর্ষককে ১০০ বেত্রাঘাত এবং (বিবাহিত) ধর্ষককে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করার নির্দেশ দেয় ইসলাম। যে দেশে এ আইন চালু থাকবে, সে দেশে ধর্ষণের মতো নিকৃষ্ট ঘটনার সংবাদ বেশি একটা শোনা যাবে না। কারণ বিবাহিত লোক যখন জানবে ধর্ষণ করলে যতক্ষণ না সে মারা যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে পাথর নিক্ষেপ করতে হবে; তখন সে হয়তো এমন নৃশংসতা করার কথা কল্পনায়ও আনবে না। এ প্রসঙ্গে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যদি তারা বিবাহিত হয় তাহলে তাদের পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করতে হবে।’ মুসলিম। আর অবিবাহিতদের জন্য ১০০ বেত্রাঘাত। এটাও কিন্তু কম নয়। অনেক কঠিন শাস্তি। কারণ ১০০ বেত্রাঘাতে মৃত্যুও হয়ে যেতে পারে, অবিবাহিত কেউ হয়তো এমন শাস্তির স্বাদ ভোগ করতে চাইবে না। এ ভয়ে তারা ধর্ষণ করা থেকে দূরে থাকবে। কোরআনে এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ‘ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ; তাদের প্রত্যেককে ১০০ করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকরে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাকো। মুসলমানের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।’ সুরা আন নুর, আয়াত ২।

তা ছাড়া এ ক্ষেত্রে অপরাধীদের প্রতি কোনো রকমের দয়া দেখানোরও সুযোগ নেই। আর এমন শাস্তি জনসম্মুখে দেওয়ার কারণে এ শাস্তি যারা দেখছে, তাদের মনে যদি কোনো রকম কুচিন্তা থেকেও থাকে; তবে তারা শাস্তির ভয়ে অতিদ্রুত মাথা থেকে তা ঝেড়ে ফেলে দেবে। এর মাধ্যমে সমাজের অনেক মানুষ নিজেকে সংশোধন করে নেবে। মোট কথা, ধর্ষণের সুষ্ঠু বিচার পেতে হলে ইসলামী শাস্তির আইন চালু করতে হবে। কারণ ইসলামী আইন প্রয়োগের মাধ্যমেই ধর্ষকের সঠিক শাস্তি নিশ্চিত করা যাবে।

এ প্রসঙ্গে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন কোনো বান্দা ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তখন তার থেকে (তার অন্তর থেকে) ইমান বেরিয়ে যায় এবং তা তার মাথার ওপর ছায়ার মতো অবস্থান করতে থাকে। এরপর যখন সে এ অসৎ কাজ থেকে বিরত হয় তখন ইমান তার কাছে প্রত্যাবর্তন করে।’ মিশকাত।

সর্বশেষ খবর