রবিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

ইসলামে ধর্ষণ ও ব্যভিচারে কঠিন শাস্তির বিধান

মুফতি রুহুল আমিন কাসেমী

ইসলামে ধর্ষণ ও ব্যভিচারে কঠিন শাস্তির বিধান

মানবসমাজকে মিশ্র প্রজাতি থেকে মুক্ত রেখে সুস্থ ও নির্ভেজাল বংশীয় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত রাখার জন্য আল্লাহ ধর্ষণ ও ব্যভিচার হারাম করেছেন। ধর্ষণ ও ব্যভিচার প্রতিরোধে ইসলামী শরিয়ত পর্দা নামক এক বিধান দিয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘মুমিন পুরুষ ও নারীদের বলে দাও তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং নিজেদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে।’ সুরা আন নুর।

রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘কোনো বেগানা স্ত্রীর প্রতি দৃষ্টি দিলে কিয়ামতের দিন তার চোখে গলিত সিসা ঢালা হবে।’ কোরআন ও হাদিসের এ নিষেধাজ্ঞা শুধু মুসলিমদের জন্য প্রযোজ্য ও অত্যাবশ্যকীয়। একজন ইমানদার কখনো এর বাইরে যেতে পারে না। দেশে ধর্ষণ বেড়েই চলেছে। শিশুরাও এর থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। রসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যখন তোমরা কোনো অন্যায় অপরাধ দেখবে, তখন তার যথাযথ প্রতিবাদ কর হাত দিয়ে, না হয় মুখ দিয়ে, না পারলে অন্তর দিয়ে ঘৃণা কর। শুধু অন্তর দিয়ে ঘৃণা করা দুর্বল ইমানের পরিচায়ক।’ তাই আজ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়নের সময় এসেছে। এ মুহূর্তে দেশবাসীর একটাই দাবি- ধর্ষণ নামক ক্যান্সারের মূলোৎপাটন করতেই হবে। সংবিধানে কোরআনের আইন সংযোজন করে ধর্ষকদের প্রকাশ্য জনসম্মুখে মৃত্যুদ-াদেশ কার্যকর হোক। কেননা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন না থাকলেও ধর্ষণ ভাইরাসের একমাত্র কার্যকর ও অব্যর্থ ভ্যাকসিন ‘আল্লাহর বিধান’। আল্লাহ কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘(বিবাহিত) জিনাকার নারী-পুরুষকে হত্যা কর। (অবিবাহিত) জিনাকার, ব্যভিচারী নারী-পুরুষ উভয়কে ১০০ বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকর করতে গিয়ে তাদের প্রতি দয়া যেন তোমাদের প্রভাবিত না করে। যদি তোমরা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী হয়ে থাক। মুমিনদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।’ সুরা আন নুর। আল্লাহ বাংলাদেশকে ধর্ষিত মা-বোনদের আহাজারি, আর্তনাদ ও অভিশাপ থেকে হেফাজত করুন।

লেখক : খতিব, কাওলার বাজার জামে মসজিদ, দক্ষিণখান, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর