শিরোনাম
সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

রুখতে হবে প্রতারণা

সচেতনতার বিকল্প নেই

করোনাভাইরাস নিয়ে অনলাইনকেন্দ্রিক প্রতারণা বেড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ই-মেইল ব্যবহার করে সাইবার দুর্বৃত্তরা প্রতারণামূলক মেইল পাঠিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তথ্যপ্রযুক্তি সহজলভ্যতার কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় এই অপরাধপ্রবণতা বেশি। কিছু দিন ধরে ফেসবুকে অনেক ব্যবহারকারী ‘কভিড-১৯ রিলিফ ফান্ড’ বা করোনার ত্রাণ তহবিলসংক্রান্ত বার্তা পাচ্ছেন। ফেসবুক হ্যাক করে প্রতারকরা ফাঁদে ফেলছে গ্রাহকদের। কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই না করেই ভুক্তভোগীরা তাদের ফাঁদে পা দিচ্ছেন। আবার লোভে পড়েও অনেকে তাদের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ খোয়াচ্ছেন। ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে প্রায় ৬৮ শতাংশ নারী সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছেন। গত পাঁচ বছরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ ৫ হাজার ৩০০ জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণা মামলার তদন্ত করেছে। জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, শিশুখাদ্য, লোভনীয় চাকরির অফারে বিদেশে লোক পাঠানো, সাইবার হ্যাকিং, নামসর্বস্ব গণমাধ্যম, ভুয়া জমি-ফ্ল্যাট দেখিয়ে চলছে প্রতারণার মহাকর্মযজ্ঞ। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমাজে এখন অর্থকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। ধারণা জন্মেছে অর্থের বিনিময়ে সবকিছু কেনা যায়। তাদের কাছে অর্থ উপার্জনটা মুখ্য বাকি সব গৌণ। গৃহপরিচারিকা, ভিক্ষুক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সারা জীবনের সঞ্চয় নিয়ে উধাও হয়েছে একাধিক প্রতিষ্ঠান। থানা পুলিশ, সিটি করপোরেশন মেয়র বরাবর অভিযোগ দিয়েও এর কোনো সুরাহা পাননি তারা। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ২০১৯ এবং চলতি বছর প্রতারণার অভিযোগে ৩৬২টি অভিযান পরিচালনা করে ৯২০ জনকে গ্রেফতার করেছে। মামলা হয়েছে ৩৭৫টি। অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়। তবে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, ব্যক্তি-সচেতনতার বিকল্প নেই। কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ, তা বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ ধরনের সাইবার প্রতারণা সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর