শিরোনাম
শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

তারুণ্যই অপশ্বক্তিকে পরাজিত করতে পারে

নূরে আলম সিদ্দিকী

তারুণ্যই অপশ্বক্তিকে পরাজিত করতে পারে

স্নিগ্ধ সমীরণই হোক অথবা খরার উত্তপ্ত বাতাসই হোক চোখে দেখা না গেলেও শ্বরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রতিনিয়ত অনুভূত হয়। অদৃশ্য এ অনুভূতি মননকে কখনো আপ্লুত করে; কখনো কখনো সমস্ত শ্বরীর ও মানসিকতাকে অস্থির এবং অতিষ্ঠ করে তোলে। তার পরও বিষয়টি ক্ষণিকের। এবং স্থান-কাল পাত্রভেদে তার প্রভাব ভিন্ন ভিন্ন ধরনের। অসহ্য এবং অসহনীয় হলেও তপ্ত এ আবহাওয়া চিরস্থায়ী নয়। উপর Í বিজ্ঞানের কল্যাণে খরতাপ একান্তভাবে নিয়ন্ত্রিত করা যায়। প্রসঙ্গক্রমে ৪৫ বছর আগের একটি বাস্তব ঘটনা আজকে হাস্যকর মনে হবে। আমার একটি কাজের ছেলে গ্রামে তাদের নিজস্ব আড্ডায় কথাচ্ছলে বলেছিল, ‘আমার সাহেব শীত গ্রীষ্ম বর্ষায় একই কম্বল গায়ে দিয়ে থাকেন।’ শ্রোতারা এই অদ্ভুত কথাটা শুনে এতটাই বিস্মিত হয়েছিল যে, কেউ কেউ ভেবেছিল হয়তো কথকের কর্তা পাগল। নইলে গ্রীষ্মকালে কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমাবে কীভাবে? আজকের মতো এসি সেদিন পরিচিত ছিল না। কিন্তু আজ এতই জনপ্রিয় যে, এসি বাসেও যাত্রীদের প্রতিদিন কম্বল দেওয়া হয়। অথচ সময়ের ব্যবধানটি খুব বেশি দিনের নয়।

শীততাপ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে বটে, কিন্তু যে মূল্যবোধের ওপর সমাজ ও সভ্যতা সগৌরবে হিমাচলের মতো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে- অসচেতনতা এবং সামাজিক ভারসাম্যের অভাবে সে মূল্যবোধ অবক্ষয়ের অতলান্তে তলিয়ে যাচ্ছে। আমাদের যৌবনে আমাদের শ্বপথ ও পথচলার দীক্ষা ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণ ও নিপীড়ন থেকে বাঙালি জাতিসত্তাকে রক্ষা করে বাঙালি জাতীয় চেতনাকে বিকশিত ও প্রতিষ্ঠিত করা। অনেক নির্যাতন, নিপীড়ন ও নিষ্পেষণের দুরূহ ও দুস্তর পথ পাড়ি দিয়ে আমরা সফলতার সৈকতে পৌঁছতে পেরেছিলাম। পরাধীনতার বক্ষ বিদীর্ণ করে স্বাধীনতার সূর্যকে একটি অপরাজেয় লড়াইয়ের মাধ্যমে ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলাম। এ দীর্ঘ চলার পথে বাঙালি জাতীয় চেতনার উন্মেষ বিকাশ্ব ও বিজয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে আমাদের সুতীক্ষè অস্ত্র ছিল নিষ্কলুষ, নির্মল ও সূর্যস্নাত মূল্যবোধ। তখন আমরা তরুণ তাজা তপ্তপ্রাণ ছিলাম। ধমনিতে টগবগে রক্ত, দুই চোখ ভরা জীবন্ত স্বপ্ন ছিল বাঙালি জাতীয় সত্তার বিকাশ্ব ও তার বিজয়। চিত্তের পরিশুদ্ধতা, দেশ্ব ও মানুষের প্রতি নিষ্কলুষ ভালোবাসা, বিস্তীর্ণ পথ পরিক্রমণে নিঃস্বার্থ চিত্তের পূতপবিত্র নিষ্কলুতা আমাদের এতটাই উজ্জীবিত রাখত যে, উদ্যত-উদ্গত, উদ্ধত পূর্ণায়ত পদ্মটির মতো আমরা শাশ্ব^ত জনতার ভালোবাসার দোলনায় দোল খেতামন্ড অবগাহন করতাম। ভালোবাসার সাগরের অতলান্ত থেকে সফলতার মুক্তোমানিক যে যা কুড়িয়ে পেতাম, তা একত্রে জড়ো করে চলার পথের পাথেয় হিসেবে ব্যবহার করতাম। আমরা কেউ কখনো স্বার্থের দিকে তাকাইনি, প্রলুব্ধ চিত্তে আদর্শের মূল্য বিচ্যুতির অথবা স্বীয় স্বার্থের পথে একটি মুহূর্তের জন্যও পা রাখিনি। আকাশের প্রজ্বলিত সূর্যরশ্মির কাছ থেকে স্বাধীনতার সূর্যস্নাত স্বাদ নেওয়া ছাড়া অন্য কোনো অভিলাষ আমাদের চিত্তকে কখনই আকর্র্ষণ করেনি বলেই দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে অর্জিত দেশে বাঙালি জাতীয় চেতনার বিকাশ্ব ও ব্যাপ্তি ঘটতে মাত্র ২৩ বছরে প্রাণের মাতৃভূমিকে আমরা স্বাধীনতা উপহার দিতে পেরেছি। সেদিনের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে সম্পৃক্ত সত্তার অনেকেই আজ জীবিত। তাঁদের চোখের সামনেই মূল্যবোধ আজ তার নিষ্কলুষ জ্যোতিকে হারিয়ে ফেলেছে। দুর্নীতি তো বটেই, ব্যভিচার ও ধর্ষণ সমাজের থরে-বিথরে আজ প্রসারতা লাভ করেছে। এটিকে ভয়াবহ ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। আজকে সমাজকে সরকারশাসিত না বলে পুলিশ্ব-শাসিত বলাই শ্রেয়। খুন, রাহাজানি তো বটেই, ধর্ষণ যেভাবে ব্যাপকতা লাভ করেছে এবং তার নৃশংসতা ও উগ্রতার যে প্রকাশ্ব আমাদের সামনে প্রতিভাত হচ্ছে, তাতে যে কোনো বিবেকবান মানুষ আতঙ্কিত না হয়ে পারে না। আজকের সমাজে সবচেয়ে মারাত্মক ব্যাধি ধর্ষণ ও ব্যভিচার। সমাজে ধর্ষণ ও ব্যভিচারের বিষময় প্রভাব হয়তো আগেও ছিল, কিন্তু তা ছিল নিয়ন্ত্রিত এবং সামাজিকভাবে পরিত্যাজ্য। কিন্তু আজকে ধর্ষণের ব্যাপকতাই শুধু বাড়েনি, ধর্ষণের সংঘবদ্ধ দল তৈরি হচ্ছে। এ যেন নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধকালীন বীভৎসের চেয়েও ভয়ঙ্কর। ধর্ষণ করে হত্যা, ধর্ষিতার আত্মহত্যা প্রায় নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সম্প্রতি সিলেটের এম সি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে নববধূকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় দেশ্বজুড়ে ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। অথচ এ আন্দোলন এবং প্রতিবাদের মধ্যেও প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্ষণ এবং সংঘবদ্ধ ধর্ষণের একাধিক ঘটনা প্রতিদিন ঘটেই চলেছে এবং এর সংখ্যা যেন ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। স্বাভাবিকভাবেই এটি সব মহলে ভয়াবহ উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।

উল্লেখ্য, বার্ট্রান্ড রাসেল বলেছিলেন, সাইক্লোন ও দুর্ভিক্ষকবলিত আর্তমানবতাকে সযত্ন সহযোগিতায় অনায়াসে রক্ষা করা যায় কিন্তু মূল্যবোধের অবক্ষয়ে নিমজ্জিত জাতিকে রক্ষা করা দুরূহ ও দুর্বিষহ ব্যাপার। সেই দুর্বিষহ পরিপ্রেক্ষিতের গভীর অন্ধকারে আমরা ক্রমেই নিমজ্জিত হচ্ছি। এখান থেকে উদ্ধারের বড় দায়িত্ব সরকারের। সরকারপ্রধান, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকারসহ নেতৃত্বের অনেকটাই মহিলা নিয়ন্ত্রিত। ক্ষমতাসীন থেকে তারা ধর্ষণের শিকার মাতৃত্বের আর্তনাদ কেন শুনতে পান না, তা বোধগম্য নয়। সরকারের একার পক্ষে মহামারী আকারের এ দুর্যোগ মোকাবিলা করা বাস্তবে সম্ভব না হলে গোটা জাতিকে নিয়ে একটি অটুট ঐক্য গঠনের মধ্য দিয়ে হলেও এ ভয়াবহ ও অভূতপূর্ব মানবতার অপমান থেকে জাতিকে রক্ষা করা শেখ হাসিনার আজ অতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। মা হয়ে মাতৃত্বের, নারী হয়ে নারীত্বের অপমান যদি শেখ হাসিনার চিত্তকে দগ্ধীভূত না করে, তাহলে তার চেয়ে দুঃখজনক জাতির জন্য আর কিছুই নেই। এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ততার গৌরবেই মনপ্রাণ আচ্ছন্ন না রেখে উদাত্ত ও নিষ্কলুষ কণ্ঠে শেখ হাসিনাসহ জাতির প্রদীপ্ত বিবেকের কাছে বুক নিংড়ানো নিবেদন রাখতে চাই, অন্তত মানবতার এহেন অপমান থেকে মা-বোনের ইজ্জত রক্ষার প্রশ্নে সবাই মিলে একটি সক্রিয় ও যথোপযুক্ত উদ্যোগ গ্রহণ করি। একটি অতি সাধারণ মহিলার খেদোক্তি আমার চিন্তাকে পরিষ্কার করে দিয়েছে। নরখাদকদের চেয়ে হিংস্র ধর্ষণকারীদের চিহ্নিত কয়েকটাকে ধরে দলীয় পরিচয় বিবেচনা না করে প্রকাশ্য ক্রসফায়ারে মৃত্যুদন্ড দিতে পারলেই এ অভিশাপ থেকে অতি শিগগির জাতি নিষ্কৃতি পেতে পারে। ভুল-ত্রুটি, ক্রোধ-বিদ্বেষ থেকে নিষ্কৃতি পেয়ে সত্যিকার দোষীই যাতে শাস্তি পায়, তার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা যেতে পারে। দ্রুত বিচার আইনে বিচার সম্পন্ন করতে পারলে জনগণও স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ প্রক্রিয়াকে সফল করতে সহযোগিতা করবে, তাও প্রায় নিশ্চিত।

দুনিয়ার সবকিছু বাদ দিয়ে নতুন প্রজন্মের সবচেয়ে আগ্রহের ও আকাক্সক্ষার বিষয় যদি বিকৃত যৌন-লালসাই হয়, জাতির জন্য এর চেয়ে পরিতাপের আর কী হতে পারে? অপরিণত ও বিবেক-বিবর্জিত মানসিকতার প্রতিরোধে একটা সমাধান খুঁজে বের করা শুধু সরকারের নয়, জাতীয় দায়িত্বও বটে। এ দায়িত্ববোধটুকুই সযত্ন লালিত্যে এগিয়ে নিতে পারলে, তা বিকৃত মানসিকতা, নারীত্বের অপমান, মূল্যবোধের অবক্ষয় থেকে জাতিকে শুধু মুক্তই করবে না, এমন একটা প্রাণশ্বক্তির উদ্ভব ঘটাবে যার তুলনা কেবল মুক্তিযুদ্ধকালীন সেই সুদৃঢ় মননশীলতার সঙ্গে করা যেতে পারে। আমার এ নিবন্ধের মূল আহ্বান হলো, জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত করে জাগ্রত মূল্যবোধের সুতীক্ষè অস্ত্র দিয়ে দুর্নীতি, ব্যভিচারসহ সব সামাজিক অপশ্বক্তিকে নির্মূল করা। জাতীয় ঐক্য ও জাগ্রত বিবেক সব অপশ্বক্তির বিরুদ্ধে যে কতখানি শ্বক্তিশালী- কতখানি কার্যকর, তার প্রমাণ তো ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ। প্রশ্ন উঠতে পারে, এখন তো বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব নেই, তৎকালীন ছাত্র নেতৃত্বের অনেকেই আজ পরলোকগামী। এমনকি চার খলিফার দুজনও আজ এই পৃথিবীতে নেই। এর চেয়েও বড় কথা, মুক্তিযুদ্ধের মননশীলতা বিনির্মাণের প্রাক্কালে যৌবনের প্রতিনিধিত্ব যারা করতেন, তাদের চরিত্রের সেই সাত্ত্বিক সত্তাটি আজ অনেকটাই অবলুপ্ত।

আমি পুনরুল্লেখ করতে চাই, আজকের প্রজন্মের যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাদের বিবেকের দর্পণের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে। চাঁদাবাজি, ভর্তিবাণিজ্য, ঠিকাদারিসহ নানাবিধ উপায়ে অর্থ সংগ্রহের যে নির্লজ্জ লিপ্সা, সেখান থেকে তরুণ সমাজ- বিশেষ করে ছাত্রদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় রক্ষা করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ডিগ্রি দেওয়ার কারখানা নয়। বরং আদর্শ্ব-আপ্লুত জ্ঞান অর্জনের প্রসূতিকাগার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অবশ্যই ডিগ্রি নেওয়া হবে, তবে সেই ডিগ্রিটি কেবল একটি সাদা কাগজে লেখা ছাড়পত্র বা সনদ হবে না। বরং যে মূল্যবোধের তৃষিত আকাক্সক্ষায় প্রাইমারি স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত তারা অধ্যয়নরত ছিল, ডিগ্রি অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে সেই মূল্যবোধটুকু তাদের অর্জন করতে হবে। ডিগ্রি শুধু একটি সনদমাত্র নয় বা চাকরি লাভের জন্য ছাড়পত্র নয়। একটি শিক্ষিত মানুষ বিবেকের প্রজ্বলিত অগ্নিশিখায় ¯œাত এবং পূতপবিত্র। সেখানে সে শুধু অর্থ উপার্জনের নিমিত্ত নয়। এটি তো আমাদের পূর্বসূরিরা প্রতিস্থাপিত করে গেছেন। এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই বহু প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্ব বেরিয়েছেন, যারা আজ শুধু বাঙালির নয়, সারা বিশ্বের গৌরবের ধন। এত অসংখ্য নাম এখানে উল্লেখ করা যেত যে, এ নিবন্ধের স্বল্প পরিসরে তার স্থানসংকুলান হতো না। নাম উল্লেখ না করলেও নিঃসন্দেহে তাঁরা আমাদের কাছে প্রাতঃস্মরণীয়।

এই তো সেদিনের কথা। মোনায়েম খানের দৌরাত্ম্যে এবং তার লাঠিয়াল বাহিনীর দুঃসহ প্রভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যখন কম্পমান হয়ে ওঠে, তখনই তার বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা সচেতনতায় শুধু আসুরিক শ্বক্তিকে প্রতিরোধই করেনি, সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মননকে এতখানি প্রোজ্জ্বল ও উদ্ভাসিত করেছিল যে, তার বিকীর্ণ অগ্নিকণায় আমরা মুক্তিযুদ্ধের পথ চিনে নিতে পেরেছিলাম। আমি সচেতনভাবেই বিশ্বাস করি, আজকের অপশ্বক্তির বিরুদ্ধে বিবেকের জাগ্রত দূত ছাত্রসমাজকে উজ্জীবিত করতে পারলেই তারা যে কোনো রেনেসাঁর জন্ম দিতে পারবে।

আমি অভিনন্দন জানাতে কুণ্ঠাবোধ করি না। মন্ত্রিপরিষদের সভায় ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদন্ডের সিদ্ধান্ত ও আইনি উদ্যোগ এবং তাতে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর নিঃসন্দেহে একটি ফলপ্রসূ পদক্ষেপ। বলা বাহুল্য, শুধু আইন প্রণয়নই যথেষ্ট নয়। আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং প্রয়োগের ক্ষেত্রে দলমত, জাতি-ধর্মন্ডবর্ণ ও গোত্রের ঊর্ধ্বে থাকা অতিশ্বয় প্রয়োজন। এ আইনের যথাযথ প্রয়োগের সব ধরনের প্রভাববিমুক্তি অতি গুরুত্বপূর্ণ শ্বর্ত। ইংরেজিতে একটি কথা আছে- Justice delayed, justice denied. বিচারের বিলম্ব বিচারকে অস্বীকার করার সমতুল্য। জাতি গভীর আগ্রহ ও আকূল প্রতীক্ষায় রইল, অনতিবিলম্বে ধর্ষণ ও ব্যভিচারের শাস্তি মৃত্যুদন্ডের কার্যকারিতা অবলোকন করার জন্য। প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখি, শেখ হাসিনা তাঁর শাসনামলে অনেক ক্ষেত্রে দুরন্ত প্রতাপ দেখিয়েছেন। এ ক্ষেত্রেও যথাশিগগির সম্ভব একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারলে তাঁর সম্মানই শুধু বৃদ্ধি পাবে না, মা হয়ে মাতৃত্বের সম্মান রক্ষা করার গৌরবও প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন।

লেখক : স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা।

সর্বশেষ খবর