শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

জনপ্রতিনিধি-আমলা দ্বন্দ্ব

আইনের বিধান মেনে চলতে হবে

আমলাদের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের দ্বন্দ্ব প্রশাসনে অসুস্থতার উদ্ভব ঘটাচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে উন্নয়নকাজ। জনমনে আমলাতন্ত্র এবং জনপ্রতিনিধিদের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করছে। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় দেশ্ব পরিচালনায় জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের গুরুত্ব ও মর্যাদা অপরিসীম। একইভাবে প্রশাসন পরিচালনায় আমলাদের কোনো বিকল্প নেই। জনপ্রতিনিধি কিংবা আমলারা দেশের প্রচলিত আইন দ্বারা পরিচালিত হবেন এমনটিই প্রত্যাশিত। এর ব্যত্যয় ঘটলে সংকট দানা বেঁধে ওঠে। সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন এটি গণতন্ত্রের দাবি। আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হলে জনস্বার্থে তারা জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শ্ব বা অনুরোধকে গুরুত্ব দেবেন তেমনটিই আশা করা হয়। অনেক আমলা জনপ্রতিনিধিদের কোনোভাবেই পাত্তা দিতে নারাজ। সবকিছু নিজের কব্জায় রাখার মনোভাব বিসংবাদের উদ্ভব ঘটাচ্ছে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে দ্বন্দ্বের শুরু জনপ্রতিনিধিদের কারও কারও প্রভুসুলভ আচরণে। হুমকি-ধমকির মাধ্যমে ক্ষমতা প্রদর্শ্বনের পরিণতিতে। উপজেলা চেয়ারম্যানদের সঙ্গে ইউএনওর ক্ষমতার দ্বন্দ্বে উপজেলা পরিষদ অকার্যকর হয়ে পড়ছে। দেশের কোথাও কোথাও পৌর মেয়রদের অনৈতিক কথা না শোনায় কর্মস্থল থেকে কর্মকর্তাদের পালাতে হয়েছে। জনপ্রতিনিধি ও আমলাদের অপ্রত্যাশিত দ্বন্দ্বে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক এলাকা থেকে কর্মকর্তারা হয় পালিয়ে যাচ্ছেন, না হয় অন্য এলাকায় পোস্টিং নিচ্ছেন। গত সাধারণ নির্বাচনের পর থেকেই এমন অনভিপ্রেত পরিস্থিতি চলছে। এ পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে ভবিষ্যতে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দ্বন্দ্ব আরও ঘনীভূত হয়ে উঠতে পারে। ইতিমধ্যে আমলাদের সংগঠন একজন সংসদ সদস্যের বিচার চেয়েছে। গণতন্ত্র ও সুশাসনের জন্য অন্তরায় সৃষ্টি করছে জনপ্রতিনিধি-আমলা দ্বন্দ্ব। উভয় পক্ষ সংবিধান ও আইনের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ হলেই কেবল এ দ্বন্দ্বের অবসান ঘটানো সম্ভব হবে।

সর্বশেষ খবর