শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

নিত্যপণ্যের বাজার

দাম স্থিতিশীল রাখতে নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে

বাংলাদেশে একবার কোনো পণ্যের দাম বাড়লে তা আর কমতে চায় না। প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। মাস দু-এক ধরে কাঁচা মরিচ, পিঁয়াজ, টমেটোর দাম চড়া। হালে রেকর্ড করেছে আলুর দাম। আলুর এ দাম বৃদ্ধি বেশ তাৎপর্যপূর্ণও বটে। কারণ, বাংলাদেশে আলুকে বলা যেতে পারে দ্বিতীয় প্রধান খাদ্য, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জীবনে চালের পরই আলুর স্থান। বিশেষত নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য, যারা প্রয়োজনীয় পরিমাণ শাকসবজি কিনতে পারে না, সবজি হিসেবে আলুর ওপরই তারা সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল। পণ্যের দাম ঊর্ধ্বগতি হওয়ায় সাধারণ ভোক্তাদের কপালে ভাঁজ ফেলেছে। দেশের কৃষক তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম পায় না। আবার কৃষিপণ্যের ভোক্তারা সারা বছরই কোনো না কোনো পণ্যের চড়া দামে হিমশিম খায়। ১০ দিনের ব্যবধানে প্রতিটি সবজির দাম ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। ৬০-৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। দাম নির্ধারণ, বাজার মনিটরিং কোনো কিছুতেই ফলোদয় হচ্ছে না। মূল্য তালিকা টানানো নেই অধিকাংশ বাজারে। বাজার পর্যবেক্ষণে সরকারি সংস্থাগুলো বলছে, আলুর উৎপাদন বা সরবরাহে কোনো সংকট নেই। হুজুগে মাঝেমধ্যেই একটি করে সবজির দাম বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। খুচরা বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি। এর সঙ্গে বন্যায় ফসল নষ্ট হওয়ায় অন্য সবজির দামও তুঙ্গে। নিত্যপণ্যের অসহনীয় দর সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ করে করোনায় আয় কমে যাওয়া লোকজনকে এখন বেশি ভোগান্তিতে ফেলেছে। কম আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়ে ভোক্তা-ক্রেতাদের পকেট কাটছে। তাদের এ অশুভ তৎপরতা বন্ধ করতে হলে সরকারের উচিত বাজার মনিটরিং জোরদার করা। আর সেটি সারা বছরই করতে হবে। প্রয়োজনে টিসিবিকে দিয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করে বাজার স্থিতিশীল রাখতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর