রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

নবায়নযোগ্য জ্বালানি

সৌর ও বায়ু বিদ্যুতে মনোযোগ দিতে হবে

সৌর ও বায়ুর মতো নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের খরচ প্রতি বছর ১৩ শতাংশ করে কমছে। গত ১০ বছরে সৌরবিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় ৮২ শতাংশ আর বায়ুবিদ্যুতের ব্যয় ৩৯ শতাংশ কমেছে। ফলে নতুন যেসব কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে, তার উৎপাদন ব্যয়ের চেয়ে নতুন নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে খরচ কম হচ্ছে। বর্তমানে বাসাবাড়িতে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে। দেশের মোট জনসংখ্যার ৮ শতাংশ তাদের বাসগৃহে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করে। এর মাধ্যমে দেশে লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। বর্তমানে ২৩টি নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ বিভিন্ন পর্যায়ে চলমান আছে। আর এগুলো বাস্তবায়ন হলে এর মাধ্যমে ১ হাজার ২২০ দশমিক ৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। সরকারি বিভিন্ন ইউটিলিটি কর্তৃক আরও ৩৯০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সোলার পার্ক স্থাপনের কার্যক্রম বাস্তবায়নাধীন আছে। দেশের সব সরকারি-আধাসরকারি অফিস ভবন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদে নেট মিটারিং পদ্ধতিতে রুফটপ সোলার সিস্টেম স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উপকূলীয় এলাকা ও উত্তরাঞ্চলে যেখানে সুপেয় পানির অভাব, সেখানে ১৫২টি সোলার ড্রিংকিং ওয়াটার সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী এরই মধ্যে দেশের ৫৮ লাখ বাড়িতে সোলার সিস্টেম বসানো হয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির মধ্যে সৌরবিদ্যুৎ ছাড়াও ভালো সম্ভাবনা আছে বায়ুবিদ্যুৎ ঘিরে। সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বায়ুশক্তি থেকে ১ হাজার ১৫৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড থেকে দেশের তিনটি স্থানে ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বায়ুভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কার্যক্রম চলছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিবেশবান্ধব, খরচও কম। সরকারের নীতিনির্ধারকরা এদিকে নজর না দিয়ে জীবাশ্ম বা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকেই সর্বশক্তি নিয়োগ করছেন। বিদ্যুৎ খাতে প্রকৃত সাফল্য আনতে হলে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন বাড়ানোর দিকেই মনোযোগ দিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর