সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

হাসপাতালের জমি বেদখল

বস্তি উচ্ছেদ করে জমি ফেরত দিতে হবে

রাজধানীর মহাখালীর সংক্রমণ ব্যাধি হাসপাতাল দখল ও দূষণের শিকারে নিজেই সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। হাসপাতালের ৩৫ একর জমির ৩০ একর অপদখল করে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের একাংশের যোগসাজশে সমাজবিরোধী ও মাস্তানদের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে বস্তি। সে বস্তি থেকে লাখ লাখ টাকা ঘরভাড়া আদায় করছে মাস্তান নামধারীরা। ১৯৬২ সালে মহাখালীতে ট্রপিক্যাল মেডিসিন ইনস্টিটিউট নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। কিন্তু বিভিন্ন হাসপাতালের পক্ষ থেকে সংক্রামক রোগীদের চিকিৎসাব্যবস্থা জেনারেল হাসপাতালে না রেখে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপনের তাগিদ দেওয়া হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে ট্রপিক্যাল মেডিসিন ইনস্টিটিউটের বদলে ৩৫ একর জমি এবং সাততলা ভবন নিয়ে যাত্রা করে মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল। কিন্তু ৩৫ একর জমির মধ্যে হাসপাতালের সাততলা ভবন আর স্টাফ কোয়ার্টার নিয়ে হাসপাতালের দখলে আছে মাত্র ৫ একর জায়গা। আর বাকি ৩০ একর ঘিরে গড়ে উঠেছে বস্তি, কাঁচাবাজার ও খাবার হোটেল। এখন এ বস্তির নামে মানুষকে সাততলা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল চেনাতে হয়। হাসপাতালের দেয়াল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে দোচালা-চারচালা টিনের খুপরি ঘর। হাসপাতালের দেয়াল ভেঙে বানানো হয়েছে পকেট গেট। হাসপাতালের দেয়াল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে কাঁচাবাজার। দুপুর গড়িয়ে বিকাল পড়তেই হাসপাতালের ভিতরে বসে দোকান। শুধু টিনের ঘর করেই থেমে নেই দখলদাররা। হাসপাতাল এলাকার পশ্চিম পাশের জমি দখল করে ইট ও রড দিয়ে ঘর বানানো হচ্ছে। এ নোংরা-দূষিত পরিবেশে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল নিজেই সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত। হাসপাতালের জমিতে বস্তি একদিনে গড়ে ওঠেনি। কয়েক দশক পুরনো চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের ৩০ একর জমি দখলমুক্ত করতে কর্তাব্যক্তিরা কেবল মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখে দায় সেরেছেন- যা দুর্ভাগ্যজনক।  আমাদের আশা, কর্তৃপক্ষ অচিরেই বস্তি উচ্ছেদ করে চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের জমি তাদের ফিরিয়ে দেবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর