মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

আলুর দামে ঊর্ধ্বগতি

কর্তাদের ভুলে এ ভোগান্তি

পিঁয়াজের পর আলুর মূল্য বৃদ্ধিতে জনমনে হতাশা ও ভোগান্তি বেড়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে আলুর মূল্য বৃদ্ধিকে অযৌক্তিক বলে অভিহিত করা হয়েছে। মূল্য বৃদ্ধির পেছনে সিন্ডিকেটের ভূত জড়িত এমনটিও আবিষ্কার করা হচ্ছে। খোলা বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা। অন্যান্য সবজির তুলনায় এ দামকে বেশি বলার সুযোগ নেই। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে ৩৫ থেকে আলুর দাম ৫০ টাকায় পৌঁছার কারণ কী তা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ভোক্তারা। বাণিজ্যমন্ত্রী আলুর দাম প্রতি কেজি ৩০ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও তা মান্য করার প্রয়োজন বোধ করছে না কেউ। চেইন শপগুলোতেও আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৯ টাকা কেজি দরে, ভ্যাটসহ ৫০ টাকায়। চলতি বছর আলুর উৎপাদন হয়েছে কিছুটা কম। তবে এ পরিমাণ স্বাভাবিক চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি। কিন্তু একদিকে করোনাকাল অন্যদিকে একের পর এক বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে অন্য সব সবজি নষ্ট হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই আলুর ওপর চাপ পড়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর আলুর ব্যবহার বেড়েছে অন্তত ১০ ভাগ বেশি। এ বছর বিপুল পরিমাণ আলু বিদেশে বিশেষত নেপালে রপ্তানি হয়েছে। আলু রপ্তানিতে রপ্তানিকারকদের শতকরা ২০ ভাগ প্রণোদনা দেওয়ায় বিদেশি আমদানিকারকরা বাংলাদেশ থেকে আলু কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এ মুহূর্তে দেশের হিমাগারগুলোয় যে আলু রয়েছে তাতে সংকট হওয়ার কথা নয়। তবে মজুদকারীরা আলু বিক্রিতে ধীরে চল নীতি গ্রহণ করায় বাজারে তার প্রভাব পড়েছে। দাম ভোক্তাদের ক্ষমতার মধ্যে রাখতে টিসিবির উদ্যোগে আলু বিক্রি শুরু হয়েছে ২৫ টাকা কেজিতে, যা একটি ভালো উদ্যোগ। আলুর দাম বৃদ্ধিতে অস্বাভাবিকতা না থাকলেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে যথাযথ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেনি। তাদের উচিত ছিল অন্য সব সবজির ফলন মার খাওয়ায় আলু যে শেষ ভরসা তা বুঝে সময় থাকতে রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা। দেরিতে হলেও রপ্তানিতে বাদ সাধা হয়েছে। কিন্তু এ বিলম্বই যে এ নিত্যপণ্যটির দাম রাতারাতি বৃদ্ধি করেছে তা এক বড় সত্য। এ ব্যাপারে কর্তাব্যক্তিরা ভবিষ্যতে চোখ কান খোলা রাখবেন- এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর