শিরোনাম
বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

উন্নয়ন কর্মকান্ডে স্থবিরতা

অর্থনৈতিক পুনর্বাসন প্রধান চ্যালেঞ্জ

করোনার অবাঞ্ছিত প্রভাব পড়েছে দেশের উন্নয়নকাজে। সারা দুনিয়ার মতো বাংলাদেশেও জনস্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে কভিড-১৯ নামের ভাইরাস। স্বীকার করতেই হবে, দুনিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় মহামারীতে জীবনহানির সংখ্যা বাংলাদেশে তুলনামূলক কম হয়েছে সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের কারণে। অর্থনৈতিক দিক থেকে সারা দুনিয়ায় করোনা বা কভিড-১৯ যে মহাবিপর্যয় ডেকে এনেছে তার অপচ্ছায়া বাংলাদেশও এড়াতে পারেনি। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনর্গঠনে বাংলাদেশের সাফল্য ইতিমধ্যে আইএমএফসহ বিশ্বের নেতৃস্থানীয় অর্থনৈতিক সংস্থাসমূহ স্বীকার করেছে। তার পরও করোনাজনিত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আকাশছোঁয়া। মধ্য আয়ের দেশ তারপর উন্নত দেশের কাতারে পা রাখার স্বপ্ন বিঘœ করেছে করোনা। এ মহামারী এবং এর ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক অচলাবস্থায় চলতি বছরের মার্চ থেকে থেমে যায় সব উন্নয়ন কর্মকা-। বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে এসেও থামেনি প্রাণঘাতী কভিড-১৯-এর অচলাবস্থা। ফলে সিংহ উন্নয়ন কর্মকা- থেমে আছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কিছু প্রকল্পের কাজ চললেও সেগুলোয় নেই কাক্সিক্ষত গতি। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ৩১তম স্প্যান বসানোর চার মাস পর ১১ অক্টোবর বসানো হয়েছে ৩২তম স্প্যান। মাত্র আট দিনের ব্যবধানে ৩৩তম স্প্যানটি বসানো হয়েছে গত সোমবার। এর ফলে এখন পদ্মা সেতুর ৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান। কিন্তু গত পাঁচ মাসে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ যতটা পিছিয়েছে তা পুষিয়ে নিতে তার চেয়েও বেশি সময়ের প্রয়োজন হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। করোনার ফলে সৃষ্ট বিপর্যয়ে মেট্রোরেল, পদ্মা সেতুতে রেলসংযোগ, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, বাস র‌্যাপিড ট্রানজিটসহ চলমান কোনো বৃহৎ প্রকল্পই শেষ হচ্ছে না নির্ধারিত সময়ে। স্বভাবতই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় যেমন বাড়বে তেমন এসব প্রকল্পের সুফল পেতে জাতিকে আরও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে। দেশের জন্য এটি বিসংবাদ হলেও সরকারের সামনে অবকাঠামোগত উন্নয়নের চেয়ে অর্থনৈতিক পুনর্বাসন বড় চ্যালেঞ্জ বলে বিবেচিত হচ্ছে।

এ চ্যালেঞ্জে জেতার জন্য ‘উন্নয়ন প্রকল্পের’ ক্ষেত্রেও ধীরে চলতে হচ্ছে। এ বাস্তবতাকে মেনে নেওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই।

সর্বশেষ খবর