শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

তিন বিভাগের সমন্বয়

সুষ্ঠুভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার চাবিকাঠি

রাষ্ট্র নামের সার্বভৌম প্রতিষ্ঠানটি দাঁড়িয়ে তিনটি কাঠামোর ওপর। ত্রিভুজ আকারের এ প্রতিষ্ঠানটির অস্তিত্ব রক্ষায় তিন কাঠামো যে সমভাবে শক্তি জোগায় তা সহজেই অনুমেয়। স্বভাবতই রাষ্ট্রব্যবস্থাকে সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে নেওয়ার স্বার্থে আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগকে একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে কাজ করার পরিবেশ গড়ে তোলা জরুরি। এজন্য প্রয়োজন পারস্পরিক আস্থা ও নির্ভরশীলতার ঐকান্তিক চর্চা। এর ব্যত্যয় হওয়ায় রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তিন বিভাগ আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি বাড়ছে। এতে পরস্পরের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হওয়ার অনভিপ্রেত অবস্থা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। তিন বিভাগের সমন্বয়হীনতায় মাঠ প্রশাসন শুধু নয়, কেন্দ্রীয় পর্যায়েও গুরুত্বপূর্ণ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। সরকারের উন্নয়নকাজসহ অন্যান্য কর্মকান্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিভিন্ন স্তরে ভুল বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে একই কারণে। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু ঘটনায় এ তিন বিভাগের মধ্যে সমন্বয়হীনতা বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। দেশের একাধিক স্থানে সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্বাহী বিভাগের দ্বন্দ্ব দেখা গেছে। একইভাবে বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যেও কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে ভুল বোঝাবুঝি। এসব ভুল বোঝাবুঝির অবসানে রাষ্ট্রের তিন বিভাগকে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার, শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুষ্ঠুভাবে রাষ্ট্র পরিচালনায় রাষ্ট্রের তিনটি বিভাগের মধ্যে যথাযথ সমন্বয় ও সুসম্পর্ক থাকা জরুরি। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে নিম্নমধ্যবিত্ত দেশে পরিণত হয়েছে। করোনাকালীন বিপর্যয়ে সারা দুনিয়া পেছনের দিকে হাঁটা শুরু করলেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার আকাক্সক্ষাকে জিইয়ে রেখেছে। বহির্দুনিয়া থেকে স্বীকার করা হয়েছে বাংলাদেশ করোনাসৃষ্ট বিপর্যয় সীমিত রাখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সাফল্যের পরিচয় দিয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে দেশের পরিশ্রমী মানুষের কারণে। এ ধারা অক্ষুণœ রাখতে এবং নিজেদের মর্যাদার স্বার্থে রাষ্ট্রের তিন গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভকে একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে কাজ করতে হবে। বাস্তবতার নিরিখে দ্বন্দ্ব সৃষ্টির ভ্রান্তি থেকে দূরে থাকতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর