শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

মাধ্যমিকে অটো প্রমোশন

শিক্ষার গতি সঞ্চারে উদ্যোগ নিতে হবে

করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। এতে শিক্ষার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে টেলিভিশন, রেডিও, অনলাইন ও মোবাইলে পাঠদান চালু থাকলেও খুব বেশি কার্যকর হয়নি। শিক্ষার্থীর বেশির ভাগই এ পাঠদান প্রক্রিয়ার বাইরে ছিল। এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলের বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অবকাঠামোগত দুর্বলতার কারণে এ প্রক্রিয়ায় যুক্তই হতে না পারায় কেবল সরকারি অর্থের অপচয় হয়েছে। করোনাভাইরাসের জন্য ইতিপূর্বে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল হয়েছে; এবার মাধ্যমিক স্তরে বার্ষিক পরীক্ষা হচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে। প্রতি সপ্তাহে এ অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া ও জমা নেওয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ৩০ কর্মদিবসের জন্য একটি পাঠ্যসূচি করা হয়েছে। সংক্ষিপ্ত এ পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে অ্যাসাইনমেন্ট করতে হবে শিক্ষার্থীদের। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। প্রতি সপ্তাহে এ অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া ও জমা নেওয়া হবে। তবে এ মূল্যায়ন পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য প্রভাব ফেলবে না। এ মূল্যায়নের মাধ্যমে মূলত শিক্ষার্থীদের কী ঘাটতি আছে তা দেখা হবে। যাতে পরবর্তী ক্লাসে তা পূরণ করা যায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ও প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের কাছে এ পাঠ্যসূচি পৌঁছে দেওয়া হবে। নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যে অনলাইনে নেওয়া হবে এ সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ক্লাস। গণপরিবহন, বাজার, অফিস-আদালত সব চালু করা হয়েছে; অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি নিয়ে শঙ্কার শেষ নেই। বাড়িতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা নিয়ে অভিভাবকদের উৎকণ্ঠা বাড়ছে। পরীক্ষার বিকল্প অ্যাসাইনমেন্ট প্রদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতি আরও আগেই নেওয়া যেত। তাহলে এসএসসি ও এইচএসসি শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম পাঠ মূল্যায়নের সুযোগ থাকত। তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে না ফেলে পড়াশোনার গতি সঞ্চারে আর কী কী উদ্যোগ নেওয়া যায় তা এখনই ভাবতে হবে। প্রয়োজনে শিক্ষাবিদ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতামত নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর