শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

পরিবহন নৈরাজ্য

কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে

নামে গণপরিবহন, আসলে গণদুর্ভোগের আরেক নাম। অন্য অনেক দুর্ভোগের মতো এ দুর্ভোগেরও জন্ম রাজনীতির গর্ভে। রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবসার প্রায় পুরোটাই যেখানে রাজনীতিকদের নিয়ন্ত্রণে, সেখানে গণবান্ধব পরিবহনের আশা দুরাশা মাত্র। শ্তকরা ৬৩ শ্তাংশ মানুষ বাসে চলাচল করলেও গণপরিবহনে নৈরাজ্যর শেষ নেই। যাত্রী নিয়ে টানাটানি, মাঝরাস্তায় যাত্রী নামিয়ে দেওয়া, যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রী তোলা, যাত্রী পেতে দুই বাসের রেষারেষিসহ সব নৈরাজ্য আবারও ফিরে এসেছে রাজধানীর সড়কে। যাত্রীবাহী বাসের এসব বিশৃঙ্খল আচরণের কারণে ঢাকায় যানজট বেড়ে গেছে। এজন্য নির্মাণাধীন মেট্রোরেলের কর্মযজ্ঞকেও দায়ী করেছেন অনেকে। বাস বে-তে বাস থামছে না। তারা যাত্রী তুলছে নিজেদের সুবিধাজনক স্থান থেকে। দেশের সড়ক-মহাসড়কে বড় কোনো দুর্ঘটনার পর সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা জমে ওঠে কিন্তু কদিন পর সবকিছু আগের অবস্থায় ফিরে যায়। জানা গেছে, সরকার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিলেও মালিক-শ্রমিক, সরকারি সংস্থাগুলোও পরস্পরকে সহযোগিতা করে না। সড়ক নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর মাত্র কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে সড়ক পাহারা দেওয়া কঠিন। পুলিশের সহযোগিতাও ঠিকমতো মেলে না। এসব নিয়ে সম্প্রতি নগর ভবনে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনা ও যানজট নিরসনে ‘বাস রুট রেশ্নালাইজেশ্ন’ কমিটির এক সভা হয়। ওই সভায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশ্নের মেয়র, ট্রাফিক বিভাগ, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাস মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা অচিরেই কাজ শুরু করবেন। করোনার মধ্যে যাত্রী সুরক্ষার ১১ দফা শ্র্তের কিছু মানছেন না পরিবহন কর্মীরা। গণপরিবহনে শৃঙ্খলা নেই, ভাড়ার মাত্রা অস্বাভাবিক বেশি, যাত্রী অধিকার বলে কোনো কিছুর দেখা এসব পরিবহনে মিলবে না। যানজটের অন্যতম কারণও বাস চলাচলে যাত্রীবান্ধব পরিকল্পনার অভাব। পরিবহন নৈরাজ্য রুখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অচিরেই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর