শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

লিওনার্দো দা ভিঞ্চির সমাধি রহস্য

লিওনার্দো দা ভিঞ্চির সমাধি রহস্য

সর্বকালের সেরা ও সবচেয়ে আলোচিত চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চি। তাঁর সৃষ্টি মোনালিসা আজও এক গভীর রহস্য। রহস্যময়তা ঘিরে রয়েছে তাঁর প্রতিটি চিত্রকর্মে। তাঁর মৃত্যু ও সমাধি ঘিরেও রয়েছে অন্যরকম এক রহস্য। ১৫১৯ সালের ২ মে ৬৭ বছর বয়সে মারা যান লিও। ফ্রান্সের প্রাসাদগির্জা স্যাঁ ফ্লোরত্যায় সমাধিস্থ করা হয় লিওকে। লিওর মৃত্যু নিয়েও রহস্য রয়েছে। কিন্তু গল্প এখানেই শেষ নয়। শতাব্দী কেটে গেল। ১৭৮৯ সাল। ফ্রান্সে তখন বিপ্লবের ঢেউ। সে ঝড়ে ধ্বংস হয়ে গেল বড় বড় সুন্দর প্রাসাদ, ইমারত সৌধ। সে ঝড়ে হারিয়ে গেল সর্বকালের শ্রেষ্ঠ প্রতিভাময় মানুষটির স্মৃতির শেষ রেশটুকু। অবশ্য ইতিহাস বলছে, ১৮৭৪ সালে স্যাঁত উবের এ সাতো দবোয়াজ- এরই ছোট্ট একটি গির্জায় আবার তাঁর দেহাবশেষ সমাধিস্থ করা হয়। এখানেই প্রশ্ন ওঠে। বিপ্লবের ধ্বংসযজ্ঞ পেরিয়ে তাঁর দেহাবশেষ সংগ্রহের প্রক্রিয়া ও বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক। কেউ কেউ দাবি করেন, সেখান থেকে লিওর দেহাবশেষ সংগ্রহের পুরোটাই গল্প ছাড়া আর কিছু নয়। সে রহস্য তাই রহস্যই থেকে গেল বছরের পর বছর। খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, ইতালির একদল গবেষক লিওনার্দো দা ভিঞ্চির কবর খুঁড়ে তাঁর দেহাবশেষ সংগ্রহের দিকে এগোলেন। তাঁরা দেহাংশগুলো জোড়া লাগিয়ে লিওনার্দো দেখতে কেমন ছিলেন, সে ব্যাপারে একটা ধারণা তৈরি করতে চান। মোনালিসার চেহারার সঙ্গে যদি লিওনার্দোর পুনর্গঠিত অবয়বের কোনো সাদৃশ্য খুঁজে পান তাহলে বিশ্ববাসী হয়তো প্রথমবারের মতো লিওনার্দোর প্রতিচ্ছবি দেখতে পাবেন। সমাধি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও তাঁর মেধা ও সৃজনশীলতায় মুগ্ধ পৃথিবীবাসী। অথচ রহস্যময় ‘মোনালিসা’র স্রষ্টার অন্তিম কথা ছিল, ‘আমি ঈশ্বর এবং মানবজাতিকে কষ্ট দিয়েছি। কারণ আমার মানসম্পন্ন কাজ আমি করতে পারিনি।’

সর্বশেষ খবর