শিরোনাম
বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

নতুন ভিসাধারীদের সংকট

সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিন

সৌদি আরব ও ওমানে কর্মপ্রত্যাশী বিপুলসংখ্যক শ্রমিক ভিসা সংকটে পড়েছে। করোনা সংক্রমণের আগে উভয় দেশ ৮০ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিকের জন্য ভিসা মঞ্জুর করে। কিন্তু করোনাকালে আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ থাকায় ২৫ হাজার নতুন কর্মপ্রত্যাশীর ভিসা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যায়। সৌদি কর্তৃপক্ষ অবশ্য তাদের নতুন করে কাগজপত্র জমা দিয়ে ভিসা নিতে বলেছে। নতুন করে কাগজপত্রের সঙ্গে মেডিকেল রিপোর্ট এবং ‘পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট’ও জমা দিতে হবে। এতে নতুন সংকট দেখা দিয়েছে তাদের সামনে। মহামারীর আগে ভিসা পেলেও পুনরায় ভিসা দেওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি সৌদি নিয়োগকারীদের ওপর নির্ভর করবে। করোনার কারণে তৈরি অর্থনৈতিক মন্দায় তারা এখন শ্রমিক নিয়োগ দেবেন কিনা তার ওপর নির্ভর করছে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ। সৌদি নিয়োগকর্তারা বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোয় যে ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ দিয়েছিলেন তা বাতিল হলে প্রক্রিয়ার জটিলতা ও খরচ আরও বাড়ার শঙ্কাও আছে। জনশক্তি খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৮০ হাজারের মতো কর্মী করোনার লকডাউন শুরুর আগে সৌদি আরব যাওয়ার প্রস্তুতিতে ছিল। এর মধ্যে ৪০ হাজারের সব অনুমোদন শেষে ফ্লাইট রেডি ছিল। সৌদি আরবের পাশাপাশি অন্যান্য দেশে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিল প্রায় ৩০ হাজার। এর একটি বড় অংশই ছিল ওমানগামী। ওমান নতুন ভিসাধারীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় বিপুলসংখ্যক শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ওমানিদের কর্মসংস্থানের স্বার্থে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ছাঁটাই করলে তা দেশের রেমিট্যান্স আয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে। সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা দেশে ফিরে এলে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রগুলোয় সংকট তীব্রতর হবে। সৌদি আরব ও ওমানে বাংলাদেশের শ্রমবাজার টিকিয়ে রাখতে কূটনৈতিক পর্যায়ে উভয় দেশের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। নতুন শ্রমবাজার অনুসন্ধানেও দিতে হবে মনোযোগ। বিশেষ করে আফ্রিকায় চাষাবাদের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতেও উদ্যোগী হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর