বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

মোংলা বন্দরে প্রাণচাঞ্চল্য

ব্যবহারকারীদের আস্থা অটুট থাকুক

মোংলা বন্দরের কর্মচাঞ্চল্য দিন দিন বাড়ছে। এর ফলে দেশের প্রধান সামুদ্রিক বন্দর চট্টগ্রামের ওপর ব্যবসায়ীদের নির্ভরতা কিছুটা হলেও হ্রাস পেয়েছে। মোংলা বন্দরে পণ্য বোঝাই ও খালাসে গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানিকারকরা এ বন্দরের দিকে ঝুঁকছে। গত রবিবার রাতে ৫টি বিদেশি জাহাজ একসঙ্গে বার্থিং করায় মোংলা বন্দর জেটি জাহাজে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের মতে, পদ্মা সেতু চালু হলে এ বন্দরের ওপর চাপ আরও বাড়বে। বর্তমান সরকার ও বন্দর কর্তৃপক্ষের নানামুখী পদক্ষেপের ফলে মোংলা বন্দরের পণ্য ওঠানামার সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। জেটি ও চ্যানেলের নাব্য বৃদ্ধি ও মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বাড়ায় একই সঙ্গে ৫টি জাহাজ মালামাল খালাসের জন্য বার্থিং করা সম্ভব হয়েছে। মোংলা বন্দর প্রতিষ্ঠার ইতিহাসে ৭০ বছরের মধ্যে এই প্রথম বন্দরের সব জেটি বিদেশি জাহাজে পরিপূর্ণ হয়েছে। মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে। এখন জেটিতে ৫টি জাহাজ আর বন্দরের বহির্নোঙরে আরও ৬টিসহ মোট ১১টি জাহাজ অবস্থান করছে। পাইপলাইনে আরও অনেক জাহাজ রয়েছে। মোংলা বন্দরে জাহাজের ভিড় নানা কারণে আশাজাগানিয়া ঘটনা। এর ফলে এ বন্দরের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে। পদ্মা সেতু নির্মাণের পর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উঠবে দেশের অন্যতম উপাদান কেন্দ্র। স্বভাবতই মোংলা বন্দরের গুরুত্ব সে সময় অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। তার আগে এ বন্দরের প্রতি ব্যবসায়ীদের আস্থা বৃদ্ধি একটি ইতিবাচক ঘটনা। আমাদের মতে, মোংলা বন্দরে বিদেশি জাহাজ আগমনের ঘটনায় আত্মপ্রসাদে না ভুগে বন্দর কর্তৃপক্ষকে বন্দরের উন্নয়নে আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে। নাব্য বৃদ্ধি ও মাল ওঠানো-নামানোয় দ্রুতগতি সৃষ্টি করা হলে তা মোংলা বন্দর ব্যবহারকারীদের আস্থা বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে। মোংলাকে কেন্দ্র করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শিল্প স্থাপনের সম্ভাবনাও বাড়াবে।

সর্বশেষ খবর