শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

জমির খাজনা

একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ

প্রাচীনকাল থেকেই কৃষক জমির খাজনা প্রদান করে আসছে। মাধ্যম ছিল অর্থ অথবা উৎপাদিত ফসল। ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত খাজনার সঙ্গে শিক্ষা খাতের জন্য টাকা আদায় করা হতো। ফলে ওই সময়ের শিক্ষিতরা গরিব কৃষকের টাকায় লেখাপড়া করেছেন বলে দাবি করা হয়। ১৯৭৬ সালে ‘ভূমি উন্নয়ন কর অধ্যাদেশ’-এর মাধ্যমে খাজনা শব্দটি বাদ পড়ে যায়। বর্তমানে খাজনাই হলো ভূমি উন্নয়ন কর। এতে বাড়তি অর্থ আদায় করা হয় না। বাংলা সনের ভিত্তিতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হয়। আমাদের দেশে বহু বছর ধরে ভূমিকর পরিশোধ নিয়ে দুর্নীতি হয়। এ নিয়ে সরকারও নানা সময় বিব্রত হয়েছে। বর্তমান সরকার অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়ার সুবিধা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে। আগামী বছরের জুলাই থেকে সারা দেশে ভূমিকর দেওয়ার এ সুবিধা নিশ্চিত করতে চায় সরকার। বুধবার ‘হাতের মুঠোয় ভূমিসেবা’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে এ-সংক্রান্ত পাইলটিং কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান ভূমিমন্ত্রী। এখন থেকে অনলাইনভিত্তিক ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থার মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে জমির খাজনা (ভূমি উন্নয়ন কর) দেওয়া যাবে। ভূমিকর দেওয়ার এ সুবিধার কারণে দেশের ৩ কোটি ৬০ লাখ মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে। মানুষের ভূমিসংক্রান্ত হয়রানি কমবে ও ভূমি অফিসের দুর্নীতি বন্ধ হবে। ভূমি মন্ত্রণালয় বলছে, ২০২১ সালের জুলাই নাগাদ দেশব্যাপী অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা চালু হবে। বর্তমানে পাইলট প্রকল্প হিসেবে সীমিত পরিসরে সেবাটি চালু হয়েছে। পাইলটিংয়ের জন্য প্রথম পর্যায়ে ৮ জেলার ৯ উপজেলার ৯ পৌর/ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অন্তর্গত ১৯টি মৌজা নির্বাচন করা হয়েছে। অনলাইনে ভূমিকর পরিশোধ বর্তমান সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এতে জমি মালিকের হয়রানি কমবে অন্যদিকে ভূমি অফিস কর্মীদের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর