রবিবার, ১ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং জনকল্যাণে কিছু প্রস্তাব

এম এ হাসেম

বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং জনকল্যাণে কিছু প্রস্তাব

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের একজন সাবেক সদস্য বা নীতিপ্রণেতা হিসেবে আমি মনে করি, দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় পর্যায়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী কমিটি থাকা প্রয়োজন। এ কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়সহ উন্নয়নসংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রিবর্গ অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। কমিটির দায়িত্ব ও কর্তব্য হবে বৈশ্বিক উন্নয়নের সঙ্গে সংগতি রেখে জাতীয় উন্নয়নের পরিকল্পনা নির্ধারণ এবং তা বাস্তবায়নের কৌশল স্থির করা। মূলত দারিদ্র্য নিরসনের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা প্রণয়ন।

BOT (Build Operate and Transfer against Toll)-এর মাধ্যমে উন্নত দেশের সারিতে বাংলাদেশের অবস্থান নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বহুমুখী উন্নয়নের জন্য প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর : চট্টগ্রামের কুতুবদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর প্রতিষ্ঠার চলমান কাজ ত্বরান্বিত করা প্রয়োজন। এতে আমাদের দেশ অনেক রাজস্ব অর্জন করতে সক্ষম হবে। কারণ বর্তমানে নাব্যের অভাবে বড় জাহাজগুলো বাংলাদেশে আসে না। যেসব জাহাজ বন্দরে নোঙর করে তা ৫০ থেকে ৬০ হাজার মেট্রিক টন পণ্য ধারণ ক্ষমতাবাহী। অন্য জাহাজগুলো গভীর সমুদ্রে নোঙর করে এবং ওই জাহাজ থেকে ফিডার ভেসেলের মাধ্যমে পণ্য খালাস করে সরবরাহ নিতে গিয়ে আমদানিকারকদের প্রতি টনে ১০ থেকে ১৫ ডলার বেশি খরচ হয়। এতে পণ্যের দাম অনেক বৃদ্ধি পায়। দাম বৃদ্ধি পেলে সাধারণ ভোক্তার ওপর এর প্রভাব পড়ে। তাই কুতুবদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপন করলে ২.৫০ লাখ থেকে ৩ লাখ মেট্রিক টন জাহাজ নোঙর করতে পারবে। উদাহরণস্বরূপ, সিঙ্গাপুরের মতো চট্টগ্রামের কুতুবদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দরেও বিশে^র বিভিন্ন দেশ থেকে আগত বড় বড় মাদার ভেসেল নোঙর করতে পারবে। এ প্রকল্পটি জরুরি ভিত্তিতে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চীন বা অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে এবং এতে তারা রাজি হবে বলে আমি মনে করি।

বাংলাদেশ বিমান : স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকেই বাংলাদেশ বিমান লোকসানের সম্মুখীন। প্রয়োজনের তুলনায় অধিক লোক নিয়োগ, অনিয়ম, দুর্নীতি এবং সর্বোপরি ব্যবস্থাপনার অদক্ষতা বাংলাদেশ বিমানের লোকসানের বোঝা ভারী করেছে।

এ থেকে মুক্তি পেতে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এয়ারলাইনস Emirates Airlines-এর মতো বিদেশি অভিজ্ঞ ও প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির কাছ থেকে বাংলাদেশ বিমানের জন্য আলোচনার মাধ্যমে ম্যানেজমেন্ট হায়ার করা উচিত। ১৭ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ। এখানে প্রতিদিন প্রায় ৫০ থেকে ৬০টি এয়ারলাইনস আসবে এবং যাবে। সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হলে লোকসানের বদলে বিমানের হাজার হাজার কোটি টাকা লাভ হবে।

বিমানবন্দর : দেশের বৃহৎ স্বার্থে একটি নতুন এয়ারপোর্ট অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্মাণের প্রস্তাব করছি, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখবে।

যানজটমুক্ত ঢাকা মহানগরী : বর্তমানে দুঃসহ ও তীব্র যানজট ঢাকা মহানগরীর জন্য বিরাট অভিশাপ। এ থেকে মুক্ত হওয়া অত্যন্ত জরুরি। যানজটের কারণে গাড়ি চালু অবস্থায় থামিয়ে থাকতে হয়, এতে বছরে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত তেল খরচ হয় এবং সময় নষ্ট হয়।

BOT-এর ভিত্তিতে বাস্তবতার নিরিখে সারা ঢাকা মহানগরীতে প্রয়োজনীয়সংখ্যক ফ্লাইওভার নির্মাণ, মেট্রো/বুলেট ট্রেন চালু করে যানজট নিরসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।

পর্যটন : প্রকৃতির লীলাভূমি বাংলাদেশ। কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকত বিশ্বে বৃহত্তম ও অতুলনীয়। সুন্দরবন হচ্ছে বিশ্ববাসীর কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। আমাদের রয়েছে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের ভান্ডার। সুতরাং, পর্যটনশিল্পের বিকাশের সুযোগ রয়েছে অপরিসীম। তা ছাড়া কুয়াকাটা, রাঙামাটি ও সেন্ট মার্টিনকেও পর্যটননগরী হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে।

কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত সমুদ্রসৈকতজুড়ে পর্যটনশিল্পকে আকর্ষণীয় ও আধুনিকায়ন করা যেতে পারে। জাপানের সঙ্গে ২০ বছর চুক্তি করে BOT-এর মাধ্যমে এ শিল্পকে সমৃদ্ধ করা যেতে পারে।

পর্যটনশিল্পকে আরও প্রসার করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পর্যটন এলাকাকে ব্যাংকক ও পাতায়ার মতো ফ্রি জোন করা যেতে পারে। এতে বিদেশিরা পর্যটনে আকৃষ্ট হয়ে ইউরোপ, আমেরিকার মতো আমাদের দেশেও ভ্রমণের উদ্দেশ্যে আসবে এবং বিপুল অর্থ ব্যয় করবে। পাশাপাশি রাজস্বও বৃদ্ধি পাবে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক : দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড বেগবান এবং স্থানীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগ উৎসাহিত করার জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে বিশ্বমানে উন্নীত করা একান্ত প্রয়োজন। ঢাকার কাঁচপুর হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ২৫০ কিলোমিটার রাস্তায় বুলেট ট্রেন স্থাপনসহ ছয় লেনের মহাসড়ক BOT-এর মাধ্যমে উন্নয়ন করা জরুরি।

বুলেট ট্রেন স্থাপন করলে ঢাকার কাঁচপুর থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ২৫০ কিলোমিটার রাস্তা মাত্র ৪০ মিনিটে যাতায়াত করা যাবে। এতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ও ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম গিয়েও মানুষ অফিস এবং বিভিন্ন কর্মকান্ড করতে পারবে। এতে ঢাকা শহরের ওপর চাপ কমবে। বুলেট ট্রেনের ব্যাপারে বিশ্বের উন্নত দেশ যেমন জার্মানি, কোরিয়া ও চীনের বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসতে প্রতি ট্রাকের ভাড়া ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকার মতো। অথচ ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রাক ভাড়া ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা দিতে হয়। তাতে পণ্যের খরচ অনেক বেশি হয়। ভোক্তারা ভোগান্তির শিকার হয়। যাত্রীবাহী গাড়ির জন্য আলাদা লেন নির্মাণ প্রয়োজন। এতে অতি দ্রুত সময়ে ওই লেনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে যাত্রীরা পৌঁছতে সক্ষম হবে। মনে রাখতে হবে, সময় বাঁচলে কাজের গতি বৃদ্ধি পাবে।

সড়ক ও জনপথ : দেখা যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মিত ও নির্মাণাধীন সড়ক ও জনপথের কাজ অত্যন্ত নিম্নমানের। প্রধান  কারণ  হচ্ছে  দরপত্র আহ্বান থেকে শুরু করে সড়ক ও জনপথ নির্মাণের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতি। যার ফলে প্রতি বছর সড়ক ও জনপথ মেরামতে প্রচুর অর্থ অযথা ব্যয় করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সড়ক-মহাসড়ক যেন আরসিসি দ্বারা নির্মাণ করা হয়। এতে সড়ক-মহাসড়কের স্থায়িত্বকাল দীর্ঘমেয়াদি হবে এবং বছর বছর সংস্কার ও মেরামত করতে হবে না।

এ ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া, চীন, কোরিয়ার কোনো অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কোম্পানিকে সড়ক ও জনপথ নির্মাণের কাজ দিলে একদিকে আর্থিক সাশ্রয় হবে, অন্যদিকে কাজের মানও উন্নত হবে। ভালো উদাহরণ হচ্ছে উত্তরবঙ্গে যমুনা সেতুর পরে কোরিয়ান কোম্পানি যে রাস্তা তৈরি করেছে তা এখনো অক্ষত অবস্থায় আছে, কারণ কাজের মান অত্যন্ত ভালো ছিল।

আবাসিক প্রকল্প : ঢাকা-চট্টগ্রাম ছয় লেনের রাস্তার মতো বাংলাদেশের যেসব ছয় লেনের সড়ক রয়েছে, ওই সড়কের ৫০০ ফুট দূরত্বের মধ্যে একটি করে স্যাটেলাইট টাউন গড়ে তোলা যেতে পারে। বিদেশে আমাদের দেশের রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশ দেওয়া হোক, যাতে বিদেশি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহায়তায় বিনিয়োগকারীদের নিয়ে মিটিং করে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য উৎসাহিত করা হয়।

স্বাধীনতার পর থেকে সাটুরিয়া ও শিমুলিয়া ফেরিঘাট ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যে নদীপথ দিয়ে ফেরি চলাচল করে বর্তমানে নাব্যের কারণে প্রায়ই তাতে অসুবিধা হয়। ১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশের এ ফেরিঘাটটি ওই অঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। ফেরি বন্ধ থাকার সঙ্গে সঙ্গে পণ্যবাহী শত শত ট্রাক আটকা পড়ে যায়। এতে অনেক পচনশীল পণ্য থাকে যা যথাসময়ে বিভিন্ন আড়তে পৌঁছতে পারে না এবং ট্রাকের মধ্যেই অনেক পণ্য পচে যায়। এতে ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হয়। তা ছাড়া শত শত বাস ও প্রাইভেট পরিবহনের যাত্রীদের ভোগান্তির সীমা থাকে না। তাই ওই এলাকায় BOT-এর মাধ্যমে ব্রিজ নির্মাণ করা জরুরি বলে আমি মনে করছি। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এর থেকে বড় বড় নদীর ওপর দিয়ে BOT-এর মাধ্যমে ব্রিজ নির্মাণ হচ্ছে। সে আলোকে আমাদের দেশেও করতে কোনো অসুবিধা নেই। শুধু নীতিগত সিদ্ধান্ত এবং উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার লক্ষ্য অর্জন করতে হবে।

Public Private Partnership (PPP)-এর মাধ্যমে বিভিন্ন বেসরকারি শিল্পপতিদের সঙ্গে সমন্বয় করে যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন কলকারখানা ও উন্নয়নমূলক কর্মকা- সম্পন্ন করার জন্য সরকার একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বাস্তবে এ প্রকল্প বিভিন্ন কারণেই সম্ভব হবে না। তার মধ্যে অন্যতম হলো- বেসরকারি শিল্পপতিদের কাছে বিপুল পরিমাণ অর্থ নেই যে তারা সরকারের সঙ্গে চচচ-এর মাধ্যমে কোনো প্রকল্প কিংবা কাজ যৌথভাবে করবেন। তা ছাড়া তাদের কোনো equipment-ও নেই।

সারা দেশে রেল ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত নাজুক ও মানসম্মত না হওয়া এবং দীর্ঘদিনের পুরনো রেললাইন সংস্কার না করায় বেশির ভাগ জেলাতেই রেল চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যদিও সরকার রেললাইনের সংস্কার, নতুন লাইন স্থাপন, মিটার-গেজকে ব্রড-গেজে রূপান্তর, উন্নত ইঞ্জিন ও বগি সংগ্রহ করে বাংলাদেশের রেলকে লাভজনক ও মানসম্মত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার পরও ১৭ কোটি মানুষের দেশে রেল ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত হওয়া উচিত। সে আলোকে  BOT-এর মাধ্যমে সারা দেশে বুলেট ট্রেন স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। এখানে আমাদের কোনো বিনিয়োগ করা লাগবে না। জাপান, কোরিয়া, চীনসহ আরও উন্নত দেশগুলো আমাদের দেশর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সম্পর্কে আগ্রহী আছে।

বর্তমান সরকারের আমলে উত্তরা থেকে মিরপুর, আগারগাঁও (Rskb), ফার্মগেট, শাহবাগ, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রো রেলের কাজ প্রায় শেষের পথে। কিন্তু এসব রুট ছাড়াও ঢাকা শহরে বিভিন্ন বড় বড় সড়কের ওপর দিয়ে মেট্রো রেলের লাইন সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। এতে রাজধানীর জনগণের যোগাযোগব্যবস্থা অতি সহজীকরণ হবে।

আমাদের দেশ নদীমাতৃক। কিন্তু নদীর নাব্য কমে গেছে। নদী ভাঙনের কারণে অনেক এলাকা প্লাবিত হয়ে বাড়িঘর, চাষাবাদের জমি, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নদী খনন ও নদীর পাড় বাঁধ দেওয়া উচিত। প্রয়োজনে জাপান, কোরিয়া, চীনের অভিজ্ঞ কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে। এসব প্রকল্প আমাদের দেশের পক্ষে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। প্রতিটি নদীর বাঁধে আরসিসি ওয়াল নির্মাণ জরুরি। তাহলে আমাদের দেশে বন্যায় বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হবে না। আমাদের নদীগুলোয় সর্বদাই পানি থাকবে।

প্রকাশ থাকে যে, BOT-এর মাধ্যমে দেশে যেসব বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে তাতে বাংলাদেশের কোনো অর্থই ব্যয় হবে না। শুধু নীতিগত সিদ্ধান্ত ও সঠিক পরিকল্পনা প্রয়োজন। যেমনটি করেছে মালয়েশিয়া।

পরিশেষে জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আমি বিনয়ের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আপনি এ দেশের অনেক উন্নয়ন করেছেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আপনার নিয়ত ও উদ্দেশ্য এ জাতির সেবায় নিয়োজিত রেখেছেন। আমি মানবিক কারণে উল্লিখিত প্রস্তাবগুলো আপনার সদয় বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করলাম।

আপনি ওই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করলে দেশ ও জাতি সারা জীবন আপনার কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে। আপনার পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারণে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। তা না হলে আমরা সারা জীবন পরাধীন থাকতাম। তাই উপরোক্ত প্রস্তাবগুলো বিনয়ের সঙ্গে বিবেচনা করার জন্য আপনাকে সবিনয় অনুরোধ করছি।

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য, প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি- নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এবং চেয়ারম্যান- পারটেক্স গ্রুপ।

সর্বশেষ খবর