রবিবার, ১ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

এখনো ডেঙ্গু

মশা নিধন জোরদার করুন

রাজধানীতে ডেঙ্গুর আগ্রাসন বাড়ছে। অক্টোবরেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ১৩৮ জন। মূলত সেপ্টেম্বরে শেষ হয় ডেঙ্গুর মৌসুম, কিন্তু এ বছর বর্ষা প্রলম্বিত হওয়ায় অক্টোবরেও বিপুলসংখ্যক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। এ বছর নভেম্বরেও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। করোনাকালে যাতে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব না ঘটে সে বিষয়ে দুই সিটি করপোরেশন এ বছর বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে। কিন্তু বর্ষা মৌসুম অক্টোবরের শেষ দিন পর্যন্ত প্রলম্বিত হওয়ায় এডিস মশার দৌরাত্ম্য থামানো যায়নি। তবে মশা নিধন কার্যক্রম গত বছরের তুলনায় বাড়ায় এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা কম। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন্স সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে ৬০২ জন। গত বৃহস্পতিবার ঢাকার হাসপাতালগুলোয় ২৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চলতি বছর ডেঙ্গু সন্দেহে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এসব মৃত্যুর তথ্য পর্যালোচনার জন্য সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে। আইইডিসিআর এখন পর্যন্ত দুটি মৃত্যুর তথ্য পর্যালোচনা করে একজনের ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে। গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা এর আগের সব বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছিল। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে, ২০১৯ সালে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। সরকারি হিসাবে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১৭৯ জন। চলতি বছর এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব জরিপ করে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের ২৫টি ওয়ার্ড ডেঙ্গু ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানা গেছে। শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কমে। সে হিসেবে নভেম্বরেই রাজধানী থেকে ডেঙ্গুর বিদায় নেওয়ার কথা। তবে মশা নিধনে অসতর্ক হলে মশাবাহিত অন্যান্য রোগের বিস্তার ঘটতে পারে। যে কারণে মশা নিধন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা জরুরি। পাশাপাশি রাজধানী ও সংলগ্ন এলাকার ডোবা-নালায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকেও নজর দিতে হবে। মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে রক্ষার সেটিই হবে প্রকৃষ্ট উপায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর