শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
ইতিহাস

রোহিঙ্গা

বিংশ শতাব্দীর গোড়া থেকে গড়ে ওঠা রোহিঙ্গা আর বৌদ্ধ ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যকার সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ানমারের সামরিক চক্র ১৯৮২ সালে তাদের সংবিধান পরিবর্তন করে এবং রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নাগরিকত্ব বাতিল করে দেয়। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তথ্যমতে, ১৯৮২ সালের আইনে রোহিঙ্গাদের জাতীয়তা অর্জনের সম্ভাবনা কার্যকরভাবে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। অষ্টম শতাব্দী পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের ইতিহাসের সন্ধান পাওয়া সত্ত্বেও বার্মার আইন এই সংখ্যালঘু নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীকে তাদের জাতীয় নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করছে। এ ছাড়া তাদের আন্দোলনের স্বাধীনতা, রাষ্ট্রীয় শিক্ষা এবং সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ হলো, তারা রাখাইনে স্বাধীনতা দাবি করে। রোহিঙ্গা সম্প্রদায় অস্ত্রধারণ করে বার্মিজ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। ধারণা করা হয়, প্রতিবেশী বৃহৎ শক্তি ছিল এ অস্ত্রের উৎস। সে সময় থেকেই বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবিলা করছে। যখনই রাখাইনে রোহিঙ্গা লিবারেশন আর্মি স্থানীয় বৌদ্ধ বসতি কিংবা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওপর আক্রমণ করে তারই প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা আক্রমণের শিকার হয় সাধারণ বেসামরিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। এমন ঘটনার বড় অধ্যায় সৃষ্টি হয় ২০১৭ সালের আগস্টে। রোহিঙ্গা গ্রামগুলোর অর্ধেকের বেশি সংখ্যায় ৩০০-এর কাছাকাছি, মিয়ানমার পুরোপুরি তাদের দেশ থেকে রোহিঙ্গাদের বিতড়িত করতে চায়। ২০০৮ সালের সংবিধান অনুসারে মিয়ানমার সেনাবাহিনী এখনো সরকারের অধিকাংশ বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও সীমান্ত বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর