বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

পৌর নির্বাচন

সন্ত্রাসীদের দূরে রাখুন

ডিসেম্বরের শেষ ভাগে দেশে ধাপে ধাপে পৌর নির্বাচন হবে। চলতি মাসের মাঝামাঝি তফসিল ঘোষণা করা হবে। প্রথম ধাপে হবে ২০ থেকে ২৫টি পৌরসভার নির্বাচন। ইতিমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পৌরসভা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় সরকার। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের হৃদয়ের টান থাকে। ফলে পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের সঙ্গে নির্বাচনব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা-অনাস্থার বিষয়টি অনেকখানি নির্ভরশীল। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, গত দুটি জাতীয় নির্বাচন নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা ও রাজনৈতিক দলগুলোর কারসাজির কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে স্থানীয় নির্বাচনে মানুষের আবেগ বেশি জড়িত থাকে। আমরা আশা করব, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পৌর নির্বাচন সম্পন্ন করে নির্বাচন কমিশন নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করবে। পাশাপাশি নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন সব ধরনের উদ্যোগই নেবে। আমাদের দেশের নির্বাচনব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠছে বিতর্কিতদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ থাকায়। মাস্তান ও সন্ত্রাসীরা যাতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ না পায় তা নিশ্চিত করা গেলে নির্বাচনী সংঘাত প্রায় শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করে দেওয়ার কথাও ভাবা যেতে পারে। এর ফলে সন্ত্রাসী ও সমাজবিরোধীদের বড় অংশকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা সম্ভব হবে। পৌর নির্বাচন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। এর ফলে বুথ দখল করে সিল মারার বিড়ম্বনা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। পৌর নির্বাচনে যাতে জনইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। সন্ত্রাসীরা যাতে ফলাফল নির্ধারণের সুযোগ না পায় সে ব্যাপারে সচেতন থাকা বাঞ্ছনীয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর