বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ই-কমার্স প্রতারণা

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সজাগ থাকতে হবে

ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিকিকিনির ধারাটা আমাদের দেশে দ্রুতই জনপ্রিয় হচ্ছে। অনলাইনে বসে কয়েকটা মাত্র ক্লিকে চাহিদা জানানো যাচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য চলে আসছে নিজের ঠিকানায়। বই, পোশাক, চাল-ডাল-সবজি, ইলেকট্রনিক্স পণ্য কিংবা কোনো সফটওয়্যার- সবই বেচাকেনা করা যায় অনলাইনে। আর এটাই ই-কমার্স। আর ই-কমার্সে তরুণ উদ্যোক্তাদের আগ্রহও বেশি। পণ্য বিক্রি করতে যেমন দোকান লাগে, ই-কমার্সেও তা-ই। একটি ই-কমার্স সাইট এখানে দোকান হিসেবে কাজ করে। তবে এ ই-কমার্স ব্যবসার আড়ালে দেশে চলছে ভয়ঙ্কর এক প্রতারণা। সাধারণ মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে অনলাইনে অ্যাপসের মাধ্যমে শুরু হয় অবৈধ মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ব্যবসা। মাত্র ১০ মাসের ব্যবধানে সেই সিন্ডিকেটটি এ ব্যবসা ছড়িয়ে দেয় বাংলাদেশসহ ৭০টি দেশে। রাতারাতি ৫ লাখ প্রবাসী ও বিদেশি গ্রাহকসহ ২২ লাখ গ্রাহক যুক্ত করে তারা, যাদের কাছ থেকে ইতিমধ্যে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ২৬৮ কোটি টাকা। এ টাকা বৈধ করার জন্য নারায়ণগঞ্জ ও সাভারের বিভিন্ন জায়গায় কেনা হয়েছে জমি। ইতিমধ্যে এ চক্রের প্রধানসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। চক্রটি এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেস ঠিকানার ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ ও ইউটিউবে শত শত পোস্টের মাধ্যমে ই-কমার্সের কথা বলে উচ্চমাত্রার কমিশনের লোভ দেখিয়ে মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে। গ্রাহকদের দেখানো হতো রেফার কমিশন, জেনারেশন কমিশন, রয়্যাল কমিশনের প্রলোভন। ডিবি সূত্র বলছেন, ব্যবসার নামে অ্যাপ ও ওয়েবসাইটভিত্তিক প্রতারণা ঠেকাতে ডিবি, সিআইডি ও সিটির সাইবার ইউনিট সব সময় নজরদারি রাখছে। তবে অনলাইনে কেনাকাটায় প্রতারণার শিকার হলে ৩০ দিনের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরে অভিযোগ করতে হবে। ই-কমার্স প্রতারণা রুখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর