শুক্রবার, ৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

আক্রান্ত বাড়ছে, রোগী কমছে

স্বাস্থ্যবিধি ও সচেতনতা বাড়াতে হবে

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। অনেক জায়গায় আবার কড়া লকডাউন শুরু হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে দ্বিতীয় জাতীয় লকডাউন শুরু হতে যাচ্ছে। আমাদের দেশে এ বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনার তিন রোগী শনাক্ত হয়। তার পর থেকে শনাক্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছিল। দেশে এক দিনে ৪ হাজারের বেশি রোগীও শনাক্ত হয়েছে। সে প্রবণতা এখন কমে গেছে। আমাদের প্রথম ঢেউয়ের পর্যায় এখনো শেষ হয়নি। এ মুহূর্তে খুব সাবধানে না থাকলে শীতের সময় বড় একটা ধাক্কা খাওয়ার সম্ভাবনা আছে। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মোট মৃত্যু ৬ হাজার ছাড়িয়েছে। ৬ হাজারের বেশি মৃত্যু হয়েছে বিশ্বে এমন দেশের সংখ্যা এখন বাংলাদেশসহ ৩১টি। বুধবার দেশে সংক্রমণ শনাক্তের ২৪২তম দিনে মোট ৬ হাজার ৪ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে সরকার। আক্রান্তের সংখ্যা বিবেচনায় করোনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। অন্যদিকে রোগীশূন্য হয়ে পড়ছে কভিড-১৯ আক্রান্তদের জন্য নির্ধারিত হাসপাতালগুলো। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে করোনা টেস্ট ও আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু হাসপাতালে রোগী ভর্তি আগের তুলনায় আরও কম। বুধবার সারা দেশে করোনা হাসপাতালের সাধারণ শয্যার ৮০ শতাংশ ফাঁকা ছিল। তবে ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে টেস্ট বাড়ানো এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। টেস্ট করে আক্রান্তদের আলাদা করতে হবে। তাহলে একজন থেকে একাধিক ব্যক্তি করোনা সংক্রমিত হতে পারবে না। কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী নিয়ে দ্বিতীয় ঢেউয়ে যাওয়া বেশ চ্যালেঞ্জের। চীনের মতো দেশেও মাঝেমধ্যে হঠাৎ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তারা পুরো একটি শহরের কয়েক লাখ মানুষকে একযোগে টেস্ট করাতে পারছে। আমাদের তো সে ব্যবস্থা নেই। তাই আমাদের প্রথম ঢেউ প্রশমন খুব জরুরি। মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি, বাড়াতে হবে সচেতনতা।

সর্বশেষ খবর