সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

জো বাইডেনের জয়

বিশ্ব শান্তি ও গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক হোক

বাইডেন যুগে প্রবেশ করল দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। সে দেশের নির্বাচনে সর্বকালের সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মার্কিনিদের এই প্রিয় মানুষটি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগের নির্বাচনের চেয়ে অনেক বেশি ভোট পেয়েও এবার জিততে পারেননি। সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক হলো হার না মানা জাতি যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে যেভাবে টালবাহানা করছেন তা সে দেশের ইতিহাসে আগে কখনো ঘটেনি। নির্বাচনে কোনো প্রার্থী হেরে যাচ্ছেন এমন আভাস পেলেই যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানানোর রেওয়াজ, সেখানে তিনি বলে বেড়াচ্ছেন বাইডেন নয়, তিনিই নির্বাচনে জিতেছেন। আদালতে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। বলেছেন, তিনি হোয়াইট হাউস ছাড়বেন না। যুক্তরাষ্ট্রে ব্যক্তি নয়, সারা জাতির ঐক্য ও জয়কে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। নির্বাচনে ব্যক্তির হার-জিত থাকলেও জাতি যাতে না হারে সে বিষয়টি প্রাধান্য পায়। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই ভুলে যাওয়া হয় নির্বাচনী বিসংবাদ। ট্রাম্প প্রথমবারের মতো সে ধারা থেকে বেরিয়ে এসে যেভাবে মানি না মানব না এমন পরাজিতের মনোভাব দেখাচ্ছেন, তা উন্নয়নশীল দেশে মানানসই হলেও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশের জন্য নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান, সে দেশের রাজনৈতিক ঐতিহ্য ট্রাম্পের প্রহসনকে মেনে যে নেবে না, তা সহজেই অনুমেয়। আব্রাহাম লিঙ্কনের মতো মহান প্রেসিডেন্টের হাতে লালিত হয়েছে যে দল সেই রিপাবলিকান পার্টিও হীনমন্যতায় সায় যে দেবে না এমনটিই আশা করা যায়। জো বাইডেন সর্বাধিক ভোটে শুধু নয়, নির্বাচকমন্ডলীর ভোটেও নিজের সুস্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করেছেন। তার জয়কে অভিনন্দিত করেছেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ। জো বাইডেন সিনেটর ও যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিশ্ব শান্তি, গণতন্ত্র ও সুবিবেচনার প্রতিবিম্ব হিসেবে নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট তথা বিশ্বের নেতা হিসেবে শান্তি, সহনশীলতা এবং গণতন্ত্রের পক্ষে তার অঙ্গীকার পূরণে আন্তরিক ভূমিকা রাখবেন এমনটি প্রত্যাশিত। জলবায়ু পরিবর্তনের দায় অস্বীকার করে ট্রাম্প যে ভুল পথ অনুসরণ করেছেন তা থেকে তিনি সরে আসবেন- এমনই দেখতে চাই আমরা। জো বাইডেন এবং মার্কিন গণতন্ত্রকে অভিনন্দন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর