মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

মানব পাচার

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্কতা কাম্য

ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন পথ ব্যবহার করে বাংলাদেশের লোকজনের বিদেশে পাড়ি দেওয়া থামছে না। ভাগ্য বদলাতে অনেকে মানব পাচারকারীদের প্রলোভনের শিকার হচ্ছে। এর ফলে সাম্প্রতিক সময়ে মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশিদের নাম বারবার আসছে। কেবল ড্যান্স ক্লাবের আড়ালে গত দেড় বছরে সহস্রাধিক নারী পাচার হয়েছে। এভাবেই যদি সহস্রাধিক নারী পাচার হয়ে থাকে, তাহলে বিদেশে লোভনীয় চাকরি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার নামে কত নারী-পুরুষ ও শিশু পাচার হতে পারে, তা অনুমান করা কঠিন নয়। একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার মতে, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় ৭ লাখ মানুষ অবৈধভাবে বিদেশে পাড়ি জমায়, যার একটি বড় অংশ যায় পাচার হয়ে। দালালের প্ররোচনায় অবৈধভাবে ইউরোপে ঢুকতে গিয়ে বিভিন্ন দেশের সীমান্তে আটকা পড়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে অনেকে। অনেকে হয়েছে সর্বস্বান্ত। বিভিন্ন দেশে নিয়ে জিম্মি করে পরিবারের কাছ থেকে দালালরা আদায় করছে টাকা। বৈরী আবহাওয়া ও নির্যাতনে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। জানা গেছে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ রকম শতাধিক সিন্ডিকেট মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত বলে অনুমান করা হয়। ওয়ার্ক পারমিটে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ইতালিতে জনশক্তি রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় ঢাকা ও সিলেটে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মানব পাচারকারী চক্র। ইতালিতে লোক পাঠানোর নিশ্চয়তা দিয়ে তারা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ২০১৯ সালের মে মাসে দালালের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ ঘুরে লিবিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করছিল বেশ কিছুসংখ্যক অভিবাসী। ওই সময় ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে মারা যায় ৪০ বাংলাদেশি। এ ঘটনার পর মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গ্রেফতারও হয় অন্তত ২০ মানব পাচারকারী। মানব পাচার বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর