বুধবার, ১১ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রশংসনীয় উদ্যোগ

নিয়ন্ত্রণে আসবে দুর্নীতির ঘাঁটি

দুর্নীতির সবচেয়ে বড় ঘাঁটিতে আঘাত হানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ উদ্দেশ্যে জমি রেজিস্ট্রেশনের আট দিনের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জমির নামজারি ও ভূমির রেকর্ড সংশোধন নিশ্চিত করার একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জমি রেজিস্ট্রেশন, নামজারি ও রেকর্ড সংশোধনে যে দুর্নীতি হয় তা এক কথায় আকাশছোঁয়া। জমি রেজিস্ট্রেশনে সরকার যে পরিমাণ রাজস্ব পায় তার চেয়ে বেশি অর্থ যায় দুর্নীতির বরপুত্রদের পকেটে। সরকার অতিসম্প্রতি রেজিস্ট্রেশন ফি কমালেও তাতে সাধারণ মানুষের খুব একটা কল্যাণ বয়ে আনেনি। তার বদলে রেজিস্ট্রেশন ফি অক্ষুণ্ন রেখে এমনকি ৫ বা ১০ শতাংশ বাড়িয়েও রেজিস্ট্রেশনের নামে যে ঘুষ লেনদেন হয় তা বন্ধ করতে পারলে আরও কল্যাণকর হতো। জমি রেজিস্ট্রেশনের আট দিনের মধ্যে নামজারি ও জমির রেকর্ড সংশোধনী নিশ্চিত করতে সফটওয়্যার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে আট দিনের মধ্যে এসিল্যান্ড বাধ্যতামূলকভাবে সেই জমির রেকর্ড সংশোধন গরজ অনুভব করবেন। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে ‘জমি রেজিস্ট্রেশন ও নামজারি কার্যক্রম সমন্বয় সাধন’-এর প্রস্তাবটি অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষ থেকে বৈঠকে যুক্ত হন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন হলে রেজিস্ট্রেশন স্বচ্ছ হবে, নামজারি ও রেকর্ড সংশোধন হবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। উত্তরাধিকার -সূত্রে জমির মালিকানার বিষয়টিও এ সফটওয়্যারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। জমি রেজিস্ট্রেশনসহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে ঘুষ নেওয়ার জন্য সেবাপ্রার্থীদের অনর্থক ঘোরানো হয়। সফটওয়্যার ব্যবহার করে স্বচ্ছভাবে জমি রেজিস্ট্রেশন, নামজারি এবং ভূমির রেকর্ড সংশোধন হলে ভূমিসংক্রান্ত বিরোধ ও মামলা হ্রাস পাবে। জনভোগান্তির অবসান ঘটবে।

তবে কায়েমি স্বার্থবাদীদের দ্বারা এ মহৎ উদ্যোগটি যাতে পন্ড না হয় সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর