শিরোনাম
বুধবার, ১১ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বিনিয়োগ রোডম্যাপ

গতিশীল হবে দেশের অর্থনীতি

দেশে ব্যাপক দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিদ্যমান বন্ধ্যাবস্থার অবসান ঘটাতে চাচ্ছে সরকার। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে যে ভয়াবহ সংকট চলছে তার অবসান ঘটাতে বিনিয়োগবান্ধব রোডম্যাপ প্রণয়নের পথে এগোনো হচ্ছে। এ উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটি (বেজা), অর্থ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাগুলো একযোগে কাজ করছে। বিনিয়োগ উৎসাহীকরণে সহজ করা হচ্ছে করনীতি। ইকোনমিক জোনে শিল্প স্থাপনের ওপর প্রস্তাবিত শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ প্রত্যাহারের নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে উন্নতির জন্য ডিসেম্বরের মধ্যে। ব্যবসাসংশ্লিষ্ট দুটি আইনে সংশোধনী আনা হচ্ছে; এর জন্য কাজ করছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো। আশা করা হচ্ছে এর ফলে বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত হবে। করোনাকালে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ছয়টি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে সরকারের সামনে, যেগুলো করোনার পরও থাকবে। এ বিষয়টি মনে রেখে এখন থেকেই বাধা পেরোনোর প্রস্তুতি শুরু করেছে সরকার। অর্থনীতির গতি স্বাভাবিক রাখতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে উৎসাহ জোগাতে জটিলতার অবসানে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। সরকার ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে করোনার মহামারী সীমিত রাখতে সক্ষম হয়েছে। অর্থনীতিতে ধস নামবে বলে যে আশঙ্কা করা হচ্ছিল তার বড়টাই এড়ানো গেছে। মহাবিপর্যয় এড়ানো গেলেও দুর্ভোগ একেবারে এড়ানো যায়নি। যার ছোবল থেকে দেশের অর্থনীতির সুরক্ষা ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। সরকারের এ ইতিবাচক পদক্ষেপ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশমুখী হতে উৎসাহিত করবে। দেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও সৃষ্টি করবে স্বস্তির আবহ। বাংলাদেশকে নিম্নমধ্য আয়ের দেশে টিকে থাকতে হলে অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করার বিকল্প নেই। করোনায় ক্ষয়ক্ষতি পূরণেরও সেটি প্রকৃষ্ট উপায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর