বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

গণপরিবহনে শৃঙ্খলা

অচল নগরীর দুর্নাম কেটে যাক

রাজধানীর গণপরিবহনের বিশৃঙ্খল অবস্থা নগরবাসীর জন্য বিড়ম্বনা বয়ে আনছে। ঢাকা মহানগরীর যানজটের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাসের আধিক্য। নগরীতে চলাচলকারী বাসগুলো যাত্রী ওঠানো-নামানোর জন্য কোনো নিয়ম মানার প্রয়োজন বোধ করে না। রাস্তায় আড়াআড়িভাবে বাস রেখে যাত্রী ওঠানোর অপকৌশল নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব সমস্যার সমাধানে আন্তজেলা বাসগুলোকে ঢাকা মহানগরীর মধ্যে ঢুকতে না দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। মঙ্গলবার নগর ভবনে অনুষ্ঠিত ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন’ কমিটির ১৩তম সভায় তিনি বলেছেন, আন্তজেলা বাসগুলো রাজধানীর সীমান্তবর্তী এলাকায় নির্ধারিত টার্মিনালে যাত্রী নামিয়ে দেবে। সেখান থেকে সিটি সার্ভিস, এমআরটি বা সেবাদানকারী যানবাহনের মাধ্যমে যাত্রীরা নিজ নিজ গন্তব্যে যাতায়াত করবেন। স্মর্তব্য, গণপরিবহনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় রাজধানীতে বর্তমানে চলাচলকারী বাসগুলোর ২৯১টি রুট থেকে ৪২টি রুটে নিয়ে আসার প্রস্তাবসংবলিত একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয় বৈঠকে। প্রতিবেদনে বর্তমানে ২ হাজার ৫০০ বাস মালিকের যেসব বাস চলাচল করছে সেগুলো সন্নিবেশ করে ২২টি কোম্পানি করার প্রস্তাবও রয়েছে। প্রস্তাবটি বাস্তবায়ন হলে সংশ্লিষ্ট বাস মালিকরা কোম্পানিগুলোর শেয়ারহোল্ডার হবেন। বৈঠকে বলা হয়, প্রতিবেদনটি পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বর্তমানে উত্তর সিটিতে মহাখালী ও গাবতলী এবং দক্ষিণ সিটির সায়েদাবাদে বাস টার্মিনাল রয়েছে। স্থানাভাবে আন্তজেলা বাসগুলো বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার ওপর অবস্থান করে এবং এর ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়। রাজধানীর প্রবেশপথে নতুন বাসস্ট্যান্ড স্থাপনে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়েছে। যানজট রাজধানীর এক জনভোগান্তির সমস্যা। গণপরিবহনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা গেলে এ সমস্যাকে সহনীয় পর্যায়ে আনা সম্ভব হবে। বন্ধ হবে সময়ের অপচয়। ঢাকা মহানগরী অচল নগরীর অভিধা থেকে রেহাই পাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর