শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ

অর্থনীতি সুরক্ষায় অগ্রাধিকার দিন

শীত মৌসুম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা অনুভূত হবে দেশজুড়ে- এমন আশঙ্কাই উঁকি দিচ্ছে জনমনে। সরকারের নীতিনির্ধারক, স্বাস্থ্য ও অর্থনীতি সংশ্লিষ্ট সব মহলের মনোযোগও এখন আসন্ন সেই বিপদের দিকে। চলতি বছরের শুরুই হয়েছে দুনিয়াজুড়ে করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯ নামের ভয়াবহ মহামারীকে সঙ্গী করে। বাংলাদেশে এ মহামারী ছোবল হেনেছে মার্চের মধ্যভাগে। বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতির দেশে কভিড-১৯ লাখ লাখ মানুষের প্রাণ সংহার করবে এমন আশঙ্কাও দানা বেঁধে উঠেছিল। তবে সে বিপদ ঠেকানো সম্ভব হয়েছে লকডাউনসহ সরকারের নানামুখী পদক্ষেপে। ১৭ কোটি মানুষের ঘনবসতির দেশে মহামারীতে গত বুধবার পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ৬ হাজার ১২৭ জন। এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ২৫ হাজারের বেশি। প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কভিড-১৯ আক্রান্তদের চিহ্নিত করা যায়নি এটি একটি বাস্তবতা। তার পরও যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে মহামারীতে মৃতের সংখ্যা তুলনামূলক বিচারে সীমিত। প্রাণহানির উচ্চমাত্রা এড়ানো গেলেও অর্থনীতির জন্য কভিড-১৯ যে বিপর্যয় ডেকে এনেছে তা এক কথায় অপূরণীয়। বিশ্বপরিসরে করোনাকালীন অর্থনৈতিক ক্ষতি সীমিত রাখার ব্যাপারে বাংলাদেশের সাফল্য বেশ ভালো। তার পরও যে ক্ষতি হয়েছে তা এক কথায় অপ্রত্যাশিত। কভিড-১৯-এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যগত পরিচর্যার বিষয়টি এখন দেশবাসীর জানা। প্রশাসনও এ ব্যাপারে সচেতন। কিন্তু অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকীভাবে দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ও চালু রাখা সম্ভব হবে তা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে বর্তমানে কভিড-১৯-এর কারণে যে সর্বগ্রাসী বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছে তা বৃদ্ধি পেলে জাতীয় জীবনে বিপর্যয় অনিবার্য করে তুলবে। ফলে কভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন সহজলভ্য হওয়ার আগে অর্থনীতির এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাতিকে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে। মানুষকে বাঁচাতে অর্থনীতি সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর