শিরোনাম
শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সড়কে মৃত্যু

জনসচেতনতা বাড়াতে হবে

সংবাদমাধ্যমে প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির খবর প্রকাশিত হয়। অক্টোবরে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩১৪টি। এতে মারা গেছেন ৩৮৩ জন এবং আহত হয়েছেন ৬৯৪ জন। মাসটিতে এককভাবে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৭.৮৯ শতাংশ। সড়ক দুর্ঘটনার মতো সমস্যা সরকারি কর্তৃপক্ষগুলোর কাছে যথেষ্ট গুরুত্ব পায় না। যদিও তাদের করার অনেক কিছুই আছে। জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর যারা ২০২০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে অঙ্গীকার করেছে, বাংলাদেশ তাদের অন্যতম। প্রশ্ন উঠতে পারে, সে অঙ্গীকার পূরণের জন্য সরকারি কর্তৃপক্ষগুলো কী পদক্ষেপ নিয়েছে? আমাদের দেশে কী কী কারণে এত বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে, কী কী পদক্ষেপ নিলে দুর্ঘটনার হার কমিয়ে আনা সম্ভব- এসবও বহুল আলোচিত বিষয়। ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, ভুয়া লাইসেন্সপ্রাপ্ত চালক ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো বন্ধ করা হলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেক কমতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ উদ্যোগ নেই। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী চালকদের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করা হয়নি। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সমস্যা, পরিকল্পনাহীনতাও দুর্ঘটনা বাড়ার পেছনে দায়ী। যাত্রীদেরও রয়েছে সচেতনতার অভাব। দুর্ঘটনা কেবল সড়কে নয়, অক্টোবরে পাঁচটি নৌ-দুর্ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু এবং ছয়জন আহত হয়েছেন। একই সময়ে সাগরে মাছ ধরার একটি নৌকা ডুবে ২২ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। ১৩টি রেল দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ১৭ জন। সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসের লক্ষ্যে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী চালকদের শাস্তি নিশ্চিত করা প্রথম কাজ। ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, হেলপারদের গাড়ি চালানো, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন চলাচল- এসব বন্ধ করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও সচেষ্ট হতে হবে, যাত্রীসাধারণের সচেতনতাও বাড়াতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর