শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বাসে আগুন

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সজাগ হতে হবে

করোনাভাইরাসের এই সময়েও কর্মস্থলে ছুটছে মানুষ। অফিস-আদালতপাড়া কর্মচঞ্চল। চাকা ঘুরছে কল-কারখানার। চলছে গাড়ি। যানজটের চিত্রও আগের মতোই। ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে জমজমাট হাটবাজার। পাশাপাশি চলছিল ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচন। দুপুরে হঠাৎই পাল্টে যায় রাজধানী ঢাকার দৃশ্যপট। প্রথম খবর আসে নয়াপল্টন এলাকায় কে বা কারা একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এর এক ঘণ্টার মধ্যে খবর আসতে থাকে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় একই রকম ঘটনা ঘটেছে। মাত্র সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজার, শাহবাগ, মতিঝিল, বংশাল, কারওয়ান বাজার, সচিবালয়ের ৫ নম্বর গেটের সামনে প্রেস ক্লাব-সংলগ্ন এলাকায় একে একে নয়টি বাস পুড়িয়ে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে। কারা এবং কেন এসব ঘটনা ঘটিয়েছে, সে সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে না পারলেও পুলিশ বলছে, এ ঘটনা পরিকল্পিত। আগুনে পুড়ে যাওয়া বাসের মধ্যে তিনটি সরকারি। জানা গেছে, দুর্বৃত্তরা যাত্রীবেশে বাসগুলোতে আগুন লাগিয়ে দ্রুত পালিয়ে গেছে। যেসব বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে তাতে তিনজন থেকে সর্বোচ্চ ১২ জন যাত্রী ছিলেন। আচমকা অশান্ত পরিবেশ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। মুহূর্তেই ঢাকা ফাঁকা হতে শুরু করে। কমে যায় গাড়ি চলাচল। হকচকিত হয়ে পড়েন রাস্তায় টহলরত পুলিশ সদস্যরা। এ ঘটনায় ক্ষমতাসীন দল তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। অন্যদিকে বিএনপি বলছে, এ ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যমূলক। আসল ঘটনা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। কয়েক বছর আগে জঙ্গিরা সারা দেশে একযোগে বোমা বিস্ফোরণ ও বাসে পেট্রলবোমা ছুড়ে মানুষ মেরেছিল। বৃহস্পতিবারের ঘটনা যদি সন্ত্রাসী হামলা হয়, তাহলে জঙ্গিসন্ত্রাস রুখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এখনই মাঠে নামতে হবে।  বাসে আগুন দিয়ে মানুষ মারার এই অশনিসংকেত থেকে নিরাপদ থাকতে সরকারের আইনশৃঙ্খলা  বাহিনীকে অবশ্যই সজাগ হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর