শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সংক্রমণ বাড়ছে

স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে

বৈশ্বিক করোনা মহামারী আরেকটি ভয়ংকর মাইলফলক ছুঁয়েছে। বিশ্বে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শিকার ২ কোটি পার হয়ে গেছে। বিশ্বের প্রায় সব জায়গাতেই এ ভাইরাসের বিস্তার ঘটেছে। গত বছর চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য খাতে যে সমস্যা তৈরি করেছে, এতে মৃত মানুষের সংখ্যা ১০ লাখ অতিক্রম করেছে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৮৪৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের দেহে করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। কিছু দিন ধরে সরকার বলে আসছে, আসন্ন শীতে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার আশঙ্কা আছে। শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে সংক্রমণ বৃদ্ধির ইঙ্গিতও দেখা যাচ্ছে। মাস দুয়েক সংক্রমণ কম ছিল। তবে দুই সপ্তাহ ধরে সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। শীতের মৌসুম শুরু হতেই করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় জনমনে তৈরি হচ্ছে উৎকণ্ঠা। তবে অবহেলা করোনা ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে। মাস্ক না পরে হাঁচি-কাশি দিলে জীবাণু কণা অর্থাৎ ড্রপলেট ছড়িয়ে পড়বে। আর্দ্রতা কম থাকায় ড্রপলেট দ্রুত শুকিয়ে ক্ষুদ্র কণায় পরিণত হবে। বাতাসের মাধ্যমে জীবাণুর সংক্রমণ বাড়বে। শীতে ধুলাও বেড়ে যায়। শীতে সর্দি, কাশি, ঠান্ডা লেগে থাকে মানুষের। এতে নাক ও গলার প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ইউরোপসহ বেশ কয়েকটি দেশে শীতে এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় সংক্রমণ বেড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, যতদিন আক্রান্ত ব্যক্তি থাকবে ততদিন করোনা সংক্রমণ থাকবে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এবার শীতে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা যাবে না। গণপরিবহনের দরজা-জানালা বন্ধ থাকায় মুখ না ঢেকে হাঁচি দিলে জীবাণু ছড়িয়ে পড়বে স্বল্প পরিসরে। হঠাৎ করে কোথাও সংক্রমণের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।  সুতরাং অবহেলা নয়, সতর্ক থাকতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর