রবিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

লর্ড চেমসফোর্ড

লর্ড চেমসফোর্ড

লর্ড চেমসফোর্ড ১৯১৬ থেকে ১৯২১ সাল পর্যন্ত ভারতের ভাইসরয় ছিলেন। তিনি ১৮৬৮ সালের ১২ আগস্ট জন্মগ্রহণ এবং উইনচেস্টার ও অক্সফোর্ডের ম্যাগডালেন কলেজে শিক্ষালাভ করেন। ১৯০৫ সালে তিনি ব্যারন হন, ১৯০৫ থেকে ১৯০৯ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড এবং ১৯০৯ থেকে ১৯১৩ সাল পর্যন্ত নিউ সাউথ ওয়েলসের গভর্নর ছিলেন। ১৯১৬ সালে তিনি ভারতের ভাইসরয় হিসেবে লর্ড হার্ডিঞ্জের স্থলাভিষিক্ত হন। মেসোপটেমিয়ায় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর পরাজয় এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধ যত এগোতে থাকে ভারতীয়দের তত পরিমাণ অসন্তোষ বৃদ্ধিকে অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী হিসেবে সঙ্গে নিয়ে ভারতে তাঁর শাসনকাল শুরু হয়। ব্রিটিশের যুদ্ধ প্রচেষ্টায় ভারতীয়দের আনুগত্যের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ভারতীয় বিষয়াদি দেখাশোনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্রিটিশ রাজ্য সচিব এডউইন মন্টেগু হাউস অব কমন্সে ঘোষণা করেন, ভারতে ব্রিটিশ সরকারের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ‘ভারতে ক্রমান্বয়ে দায়িত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় সফলকাম হওয়া।’ রাজ্য সচিবকে সঙ্গে নিয়ে চেমসফোর্ড যুদ্ধের শেষ বছরে প্রতিশ্রুত সংস্কারসমূহ বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেন।

১৯১৮ সালে প্রকাশিত মন্টেগু-চেমসফোর্ড রিপোর্ট ১৯১৯ সালের ভারত শাসন আইনে সঙ্ঘবদ্ধ করা হয়। এতে সীমিত পরিমাণ প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার এবং প্রদেশসমূহের প্রশাসনে দ্বৈতশাসন নামে পরিচিত বিভাজিত নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করা হয়। প্রস্তাবিত সংস্কারসমূহ চেমসফোর্ডের শাসনামলের মেয়াদ শেষ হওয়ার অব্যবহিত পূর্বে ১৯২১ সালে চালু হয়। কিন্তু এ সংস্কারসমূহ ভারতের জাতীয়তাবাদী নেতাদের শান্ত করতে পারেনি। রাজনৈতিক অস্থিরতা বহুবিস্তৃত হয়, যা বিচক্ষণ নীতি অনুসরণ করলে এড়ানো সম্ভব হতো। কিন্তু চেমসফোর্ড অত্যন্ত অবিবেচনাপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা গভীরভাবে অনুসন্ধান করে দেখতে যে কমিটি গঠন করেন তাতে বিচারপতি রাওলাটকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর